• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৭:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৭:৪৮ পিএম

রংপুরের মাটিতে পা রেখেই ভালবাসায় সিক্ত হলেন আকবর  

রংপুরের মাটিতে পা রেখেই ভালবাসায় সিক্ত হলেন আকবর  

ঢাক ঢোল পিটিয়ে, পুলিশের ব্যান্ড পার্টির মুর্হু মুর্হু বাজনা আর করতালের তালে তালে, জনতার ছিটানো ফুলের পাপড়ি, এবং ‘আকবর দ্যা গ্রেট’ গানে। নেচে গেয়ে হৈ-হুল্লুড়ের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার রংপুরবাসী বরণ করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার আইসিসি অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপের নেতৃত্বদানকারী বিশ্বজয়ী নায়ক রংপুরের কৃতি সন্তান আকবর আলীকে। 

অনেকে বলছেন, মোঘল সাম্রাজ্যের অধিপতি আকবর যেমন ভারতবর্ষের এক আলোকিত ইতিহাস, তেমনি যুবাদের এই বিশ্ব ক্রিকেট মঞ্চে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পূর্ণ করায় আকবরই এখন দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। 

এমন উচ্ছাস আনন্দেই মেতেছিল রংপুরবাসী। ভারতের আকবর নামার চার’শ বছর পর নতুন আকবর ক্রিকেট সাম্রাজ্য বিজয়ে ঘুঁচে গেছে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ আর হতাশা। মোঘল অধিপতির মতই বাংলার যুবাদের অধিনায়ক আকবরও এখন ‘আকবর দ্য গ্রেট’। 

গত ৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপে আকবরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জয়লাভের পর ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের মাটিতে পা দেন তারা। সেখানে এক ঝলমলে ঐতিহাসিক সন্ধ্যায় সংবর্ধিত হন তারা যা ছিল দেশবাসীর জন্য বিস্ময়কর ও গর্বের। 

এরপরই বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে রওনা হয়ে দুপুর অনুমান দেড়টায় পৌঁছান সৈয়দপুর বিমান বন্দরে। সেখানে তাকে অভিবাদন জানানোর জন্য আগে থেকে প্রস্তুত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিটি মেয়র, জেলা ক্রীড়া সংস্থার লোকজন। 

বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে আসার পরই আকবর আলীকে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা, সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন। এরপরই সৈয়দপুর ০বিমান বন্দর থেকে গাড়ি বহর নিয়ে রওনা হন রংপুরের উদ্দেশে। 

এদিকে রংপুরে আসার পথে বিভিন্ন উপজেলা ও হাট বাজারে তার গাড়ি থামিয়ে ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষী তার প্রতি ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাকে অভিবাদন জানান। এ সময় সড়কের দু’ধারে অসংখ্য মানুষ জমায়েত হন তাকে এক নজর দেখার জন্য। 

দুপুর নাগাদ বিশ্বজয়ী সম্রাট আকবর রংপুরে আসবেন এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সবার মাঝেই একটা উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। সবাই শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন। দুপুরে আড়াই কড়া পুলিশি প্রহরায় তাকে সৈয়দপুর থেকে রংপুরের প্রবেশপথ হাজিরহাট এলাকা থেকে তার গাড়ি বহর সরাসরি শহরের ভেতর দিয়ে না নিয়ে গোটা শহর প্রদক্ষিণের জন্য রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ঘুরে মডার্ন মোড় হয়ে গোটা শহর প্রদক্ষিণ শেষে নিয়ে তাকে আনা হয় সংববর্ধনা স্থল পাবলিক লাইব্রেরী ও শহীদ মিনার চত্বরের মাঠে। 

এখানে হাজারো জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পুলিশি প্রহরা সত্ত্বেও জনতার ভিড় ঠেলে তাকে মঞ্চে নিয়ে যেতে সময় লাগে প্রায় ২০ মিনিট। এখানে রংপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধিত করার কথা থাকলেও জনতার চাপে সেই সংবর্ধনা পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি আয়োজকরা। 

এমএইচবি