• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ০৩:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ০৩:৫৪ পিএম

ইহুদি বসতি স্থাপনে চেলসি মালিকের অর্থ সহায়তার তথ্য ফাঁস 

ইহুদি বসতি স্থাপনে চেলসি মালিকের অর্থ সহায়তার তথ্য ফাঁস 

পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জবরদখল করা ভূমিতে ইহুদি বসতি স্থাপনের কাজ করা একটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান এলাদকে ১০ কোটি ডলার দান করেছে রুশ ধনকুবের ও ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচ। ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গেছে, আব্রামোভিচ তার প্রতিষ্ঠান থেকে এলাদের মাধ্যমেই এত বড় অংকের অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছেন।

২০১৮ সালে ইসরাইলের নাগরিকত্ব লাভ করেন আব্রামোভিচ। এর আগেও অনেকবার দেশটিতে বড় অর্থ সাহায্য দিয়েছেন এই ধনকুবের। তবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে ফিলিস্তিনি ভূমি জবরদখল করা সংগঠনকেও যে তিনি গোপনে গোপনে সাহায্য করে থাকেন, এমন তথ্য আগে ফাঁস হয়নি।

এলাদকে অর্থ দান করে এমন তিনটি কোম্পানির মালিক আব্রামোভিচ। চতুর্থ কোম্পানিটিও নিয়ন্ত্রণ করেন ফুটবল ক্লাব চেলসির এই মালিক। এলাদের অ্যাকাউন্টে দেখা যায়, এই কোম্পানিগুলো তাদের যে অর্থ দিয়েছে, তার পরিমাণ এখনকার বিনিময় হারে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি হবে। 

পূর্ব জেরুজালেমের সিলওয়ানে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের সমর্থন দিয়ে চলেছে এলাদ নামক প্রতিষ্ঠানটি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম 'দ্য গার্ডিয়ান'-এর তথ্য অনুযায়ী, ১০ হাজার ফিলিস্তিনির মধ্যে ৪৫০ ইহুদি বসতি স্থাপন করা হয়েছে।

সিলওয়ানের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। এ পর্যন্ত এই সিলওয়ানে প্রায় ৭৫টি বাড়িতে ইহুদি পরিবারের বসতি স্থাপন সম্পন্ন করেছে এলাদ। সিলওয়ানকে ইহুদিরা ডাকে 'ইর ডেভিড' বলে; যে হিব্রু নামের অর্থ 'সিটি অব ডেভিড'।  এ প্রতিষ্ঠানটি আবার পর্যটনের ক্ষেত্রেও কাজ করে। সিটি অব ডেভিডের প্রত্মতাত্ত্বিক আকর্ষণীয় স্থানগুলো দেখতে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি পর্যটক আসেন। আর ওই পর্যটক আকর্ষণের স্থানগুলো এলাদ পরিচালনা করেন।

ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বিপণন পরিচালক শাহার শিলো গণমাধ্যমকে বলছেন, এলাদের কৌশলটা হলো– তারা সিটি অব ডেভিডে একটি ভিন্ন রাজনৈতিক বাস্তবতা সৃষ্টি করার জন্য পর্যটনকে ব্যবহার করছে।

এলাদ তার কাজের অর্থায়নের জন্য নির্ভর করে দাতাদের ওপর। ২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তারা দান হিসেবে যে অর্থ পেয়েছে, তার অর্ধেকেই এসেছে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের চারটি কোম্পানি থেকে। এই কোম্পানিগুলোর পেছনে কারা আছেন, তাদের নাম এতকাল সবার অজানাই ছিল। 

বিবিসির আরবি বিভাগের এক অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। সম্প্রতি 'ফিনসেন ফাইলস' নামে যেসব ব্যাংকিং খাতের দলিলপত্র ফাঁস হয়েছে, তার মধ্যে কিছু দলিলপত্রে বিভিআইয়ের ওই চারটি দাতা কোম্পানির নাম আছে। এসব দলিলপত্রে ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক লেনদেন এবং কোম্পানির মালিকানাসংক্রান্ত তথ্য রিপোর্ট করেছে।

এসইউ