• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম

রাশফোর্ডের শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজিকে হারাল ম্যানইউ

রাশফোর্ডের শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজিকে হারাল ম্যানইউ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ ম্যাচে হারের স্বাদ পেল ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের শেষ মুহূর্তের করা চমৎকার গোলে স্বাগতিকদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শুভসূচনা করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

গত মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত এইচ গ্রুপের ম্যাচটি যেন প্যারিসে ১৮ মাস আগের একটি রাতকে আবারো ফিরিয়ে এনেছিল। ২০১৮-১৯ মৌসুমের সেই ম্যাচে ৩-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় পিএসজি। সেবারও ম্যাচ জয়ের নায়ক ছিলেন রাশফোর্ড। পার্থক্য শুধু আগেরবার চোটগ্রস্ত নেইমার মাঠে নামতে পারেননি। এবার পুরো সময় খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি।

যদিও শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থেকে স্বাগতিকরা ম্যানইউ রক্ষণে আক্রমণ হানতে থাকে। গোল হজম না করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মাঠে নামা রেড ডেভিলদের প্রায় সব খেলোয়াড়কেই এ সময় রক্ষণভাগে নেমে আসতে দেখা যায়। ১২ মিনিটের সময় আন্দ্রে হেরেরার পাসে বল পেয়ে বাম পায়ে বাঁকানো এক শট নিয়েছিলেন আঞ্জেল ডি মারিয়া। কিন্তু  ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। খানিক পরই কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে লেভিন কুরাযাওয়া শট নিলেও ডি গিয়া আবারো তা প্রতিহত করেন। 

২০ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের ভেতর লুক শয়ের বাড়ানো বল পেয়ে অ্যান্থনি মার্সিয়াল বল নিয়ে এগিয়ে গেলেও আবদু দিয়ালো ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেসের নেয়া স্পট কিক পিএসজি গোলরক্ষক নাভাস ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে দেখা যায়, পিএসজি গোলরক্ষক আগেই গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। ফলে আবারও পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। এ যাত্রায়  ব্রুনো ফার্নান্দেস গোল করে ঠিকই দলকে ২৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে দেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউনাইটেডের জার্সিতে অভিষেকের পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ১২টি পেনাল্টি শট নিয়ে ১১টিতে লক্ষ্যভেদ করলেন ফের্নান্দেস।

খেলার ৩৪ মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যাওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে দৌড়ানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান।  পেনাল্টির আবেদন তুলে রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। এরপর ৩৯ মিনিটে আলেক্স টেলসের পাসে বল নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফার্নান্দেস ডান পায়ে শট নিলেও নাভাস তা রক্ষা করেন। 
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নেইমারের পাসে বল পেয়ে এমবাপ্পে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সে জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ে জোরালো শট নিলেও ডি গিয়া তা প্রতিহত করেন। 

৫৪ মিনিটে নেইমারের কর্নার কিক থেকে বল উড়ে যাওয়ার পর অ্যান্থনি মার্সিয়ালের হেডে করা আত্মঘাতী গোলে পিএসজি সমতায় ফেরে।  

ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ড র‌্যাশফোর্ডের নেয়া বাম পায়ের জোরালো শট আটকে দিয়ে পিএসজিকে আবারো বিপদমুক্ত করেন নাভাস। তবে ৮৭ মিনিটে পল পগবার ছোট পাসে বল নিয়ে র‌্যাশফোর্ডের নেয়া আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন। আর তাতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।

এইচ গ্রুপের আরেক ম্যাচে হারায় ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে ২-০ গোলে ঘরের মাঠে হারিয়েছে লাইপজিগ। 

এসইউ