যেখানে শেষ করেছিলেন ঠিক যেন সেখান থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুম শুরু করলো উয়েফার জার্মান ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। দুই মাস আগে লিসবনে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেছিলেন বাভারিয়ান শিবিরের ফরাসি তারকা কিংসলে কোমান। আর বুধবার সূচনা করলেন জোড়া গোলে। জালের দেখা পেলেন লেয়ন গোরেটস্কা ও কোরোঁতাঁ তোলিসোও। আর তাতেই শক্তিশালী স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলাটিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ধরে রাখার আগাম বার্তাই যেন জানান দিলোজার্মান রেডস।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। দুই অর্ধে দুটি করে গোল করে শিরোপাধারীর।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল অ্যাতলাটিকো। তবে বাঁ দিক থেকে সতীর্থের গোলমুখে বাড়ানো বলে পা লাগাতে পারেননি লুইস সুয়ারেস। পঞ্চদশ মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে নিকলাস সুলের শট পোস্টে লাগলে জাল অক্ষত থাকে অ্যাতলাটিকোর।
২৮তম মিনিটে কোমানের দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ডান দিক থেকে জসুয়া কিমিচের উঁচু করে বাড়ানো বল ছোট ডি-বক্সে বাম পা দিয়ে রিসিভ করে চোখের পলকে ডান পায়ের টোকায় প্রত্যাশিত ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরাসি উইঙ্গার।
ম্যাচের ৪১তম মিনিটে আরেকটি দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বায়ার্ন। ডি-বক্সের মধ্যে বাঁ দিক থেকে ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে ডান দিকে পাস দেন কিংসলে কোমান। জোরালো কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান জার্মান মিডফিল্ডার গোয়েৎস্কা।
৬৪তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন ইয়ানিক কারাসকো। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পাল্টা আক্রমণে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে শট নিতে দেরি করে ফেলেন তিনি।
এর দুই মিনিট পর অসাধারণ এক গোলে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন তোলিসো। প্রায় ২৮ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে পাঠান তিনি।
৭২তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে স্কোরলাইন ৪-০ করে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলেন কোমান। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার ফেলিপেকে কাটিয়ে ছোট ডি-বক্সের মধ্যে থেকে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন তিনি।
এসকে