• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২১, ০৮:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০২১, ০৮:২২ এএম

শঙ্কা কাটিয়ে শেষ আটে আর্জেন্টিনা  

শঙ্কা কাটিয়ে শেষ আটে আর্জেন্টিনা  

প্যারাগুয়ের বিপক্ষে শেষ দশ ম্যাচে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল না আর্জেন্টিনা। আগের ১০ ম্যাচে মোটে ৪টি ম্যাচ জিতেছে মেসিরা, ৪টি ম্যাচে করেছে ড্র আর ২টি ম্যাচে হেরেছিল। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গত ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল লিওনেল স্কালোনির দল৷ কোপা আমেরিকার শেষ দেখাতেও জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা৷  প্যারাগুয়ের বিপক্ষে শেষ চার ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। তিন ম্যাচ ড্র এর পাশে এক ম্যাচে হারতেও হয়েছিল। এবারো খেতে পারে ধাক্কা, সেই শঙ্কাকে সঙ্গী করেই মাঠে নেমেছিল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

অবশেষে কেটেছে গেরো, সরেছে শঙ্কা। ২০১৫ সালের পর আবারো প্যারাগুয়েকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার এ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। একইসঙ্গে পৃথিবীর প্রাচীনতম এই আসরে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও তারা অক্ষত রাখল। 

মঙ্গলবার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৬ মিনিটে গুইদো রদ্রিগুয়েজের অ্যাসিস্টে বল পাওয়া পাপু গোমেজের শট পোস্টের বেশ উঁচু দিয়ে পার হয়। পরের মিনিটে একইভাবে বল সীমানা ছাড়া করেন সার্জিও অ্যাগুয়েরো। 

১০ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের খানিক সামনে থেকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার রক্ষণচেরা পাসে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে সামনে আসতে দেখে তার শরীরের উপর দিয়ে আলতো করে টোকা মেরে বল জালে জড়িয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন পাপু গোমেজ। আকাশি নীল জার্সিতে ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমে এটি তার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক গোল। 

আট মিনিট পর প্যারাগুয়ের ডি বক্সের কাছে আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪৭তম ম্যাচ খেলতে নামা লিওনেল মেসির নেয়া ফ্রি কিক পোস্টের খানিক পাশ দিয়ে চলে যায়। ২৬ মিনিটের মাথায় ম্যাচে প্রথম সুযোগ আসে প্যারাগুয়ের সামনে; কাকুর পাসে বল নেয়া আলবের্তো এস্পিনোলার বাঁ পাতের শট পোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। 

খেলার ৪২ মিনিটে মেসি গোলের লক্ষ্য প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে পড়লেও ডিফেন্ডারদের করা মার্কিংয়ের কারণে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পড়ে যান। 

ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে ডি মারিয়ার জোরালো শট প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করলেও ফিরতি আক্রমণ থেকে দেয়া পাসে জুনিয়র আলোনসোর পায়ে লেগে জালের ভেতরে ঢুকলে আর্জেন্টিনা আত্মঘাতী গোলের সুবাদে দুই গোলের লিড পেয়েই গিয়েছিল। তবে ভিএআরে দেখা পায় ডি মারিয়া শট নেয়ার সময় তার এক সতীর্থ অফসাইডে ছিলেন। তাই রেফারি গোল বাতিল করেন। 

বিরতির পর দুই দলের কেউই গোছালো ফুটবল খেলতে পারেনি। ছিল না আক্রমণের ধার, পাওয়া যায়নি লাতিন ফুটবলের ছন্দের হদিস। পাসিং ফুটবলে অতি মনোযোগ দেয়ার প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়। 

৬১ মিনিটে অ্যাঙ্গেল রোমেরোর দুরহ কোণ থেকে নেয়া ডান পায়ের কিক সরাসরি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হয়। খেলার ৭৮ মিনিটে মিগুয়েল আলমিরনের বাঁ পায়ের শট সামান্যের জন্য বারের বাইরে দিয়ে যাওয়ায় ম্যাচে সমতা আসেনি। পাঁচ মিনিট পর ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে মেসির মাটি কামড়ানো শট গোলরক্ষকের ধরতে মোটেও সমস্যা হয়নি।  

অ্যাঞ্জেল কোরেরাকে বিপদজনক জায়গায় ফাউল করায় ম্যাচে গোলের শেষ সুযোগ পায় আলবিসেলেস্তেরা। ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক গোলরক্ষক ফ্লিস্ট করে দেন। তার খানিক পরই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন। 


এই জয়ের পর ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেয়ে এ গ্রুপের টেবিলের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চিলি। দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে প্যারাগুয়ে। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উরুগুয়ে। দুই ম্যাচ হেরে এখনও পয়েন্ট পায়নি বলিভিয়া।