• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম

রোনালদোর কারণে সতীর্থদের খেতে হচ্ছে অক্টোপাস!

রোনালদোর কারণে সতীর্থদের খেতে হচ্ছে অক্টোপাস!
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো । সংগৃহীত

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর কেটেছে মাত্র মাসখানেক। এরমধ্যেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে অসন্তুষ্ট তার সতীর্থরা। কারণ আর কিছুই নয়, রোনালদোর খাবারের মেন্যু। 

রোনালদো বরাবরই রোনালদো। সবসময় কড়া নজর খাবারের উপাদানে। প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপরেই তার বিশেষ জোর। তাই অন্যদের খাবারের তালিকা থেকে তারটা কিছুটা ভিন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক। 

তবে এবারে ম্যানইউতে যোগ দেয়ার পর তিনি খাবারের মেন্যুতে যোগ করেছেন অক্টোপাস এবং পর্তুগিজ খাবার ‘বালকাহু’।  তার অনুরোধে এই নতুন মেন্যু এখন করা হচ্ছে ম্যান ইউয়ের ক্যান্টিনেও। বিষয় সেটিও নয়, ঠেলায় পড়ে রোনালদোর এই মেন্যু এখন অন্য ফুটবলারদেরও গলধকরণ করতে হচ্ছে। 

সতীর্থদের নাকি রীতিমত পীড়াপীড়ি করছেন রোনালদো। আর তাতেই বিরক্ত হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে অক্টোপাস নিয়েই বিরোধিতা সবচেয়ে বেশি। 

দলের এক সদস্য বলেছেন, “ক্রিশ্চিয়ানোর মেনুতে প্রোটিন থাকে। হ্যাম, ডিম, অক্টোপাস নিয়মিত দেখা যায়। কিন্তু বাকিরা কিছুতেই সেই খাবার মুখে তুলতে চাইছে না। রোনালদোর অনুরোধে কয়েকজন পর্তুগিজ খাবার খেয়েছিল। কিন্তু প্রচণ্ড হতাশ হয়েছে ওরা।” 

সাফল্য ধরে রাখতে মরিয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এজন্য ফিট থাকার বিকল্প নেই। সেটা নিজেও খুব ভালো করে জানেন সিআরসেভেন। তাই খাবারদাবারে অতি সচেতন থাকেন তিনি। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন। বয়স হয়ে গেছে ৩৬। এ বয়সেও মেদহীন পেশিবহুল শরীর তার। যা অনেক ফুটবলারের ঈর্ষার কারণ।

হ্যামের টুকরা, ডিম ও অ্যাভাকোডা খুব পছন্দ করেন রোনালদো। একবারে বেশি খাবার খান না তিনি। বরং ঘন ঘন খান। দিনে ছয় থেকে সাতবার আহার করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।  

ফিটনেস ধরে রাখতে ম্যানইউর জনপ্রিয় পুডিং পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখেন না রোনালদো। চর্বি কম এবং প্রোটিনে ভরপুর থাকায় মুরগির মাংস খান তিনি। এছাড়া পনির, পর্ক, অ্যাভোকাডোর টোস্ট ভালোবাসেন। 

প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ খান রোনালদো। এছাড়া তার খাবারের তালিকায় থাকে টাটকা শাকসবজি, শস্যদানা ও ফল। রসালো ফলের জুস ব্যাপক খান তিনি। এমনকি ফিট থাকতে এখন পর্যন্ত মদ ছুঁয়েও দেখেন না। সেই সঙ্গে কোকও পান করেন না হালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।