• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২২, ১২:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১০, ২০২২, ১২:১৬ এএম

সাকিবের কাছে আবারও ‘অসহায়’ বিসিবি

সাকিবের কাছে আবারও ‘অসহায়’ বিসিবি
ফাইল ফটো।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘সাকিবের বিশ্রামের কথা ভুলে যান। ও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলবে। ওয়ানডে খেলতে যাবে আর টেস্ট না খেলেই ফিরে আসবে এটা হয় নাকি?’

এরপর বিসিবি বস বলেন, ‘ওর (সাকিব) সঙ্গে দূর থেকে কথা হয়েছে। ওকে বলেছি, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পরে তোমার সঙ্গে বসবো।’ ও বলেছে, “আপনি যা বলেন।” পাপনের কথায় মনে হতে পারে, বোর্ডের ‘অনুগত কর্মী’ সাকিব।
 
কিন্তু বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার যে তা নন, তার প্রমাণ আগেও দিয়েছেন। আবারও দিলেন। দল ঘোষণার পরে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ঐচ্ছিক অনুশীলন শুরুর পরে এবং দল দেশ ছাড়ার দু’দিন আগে বোর্ডকে অসহায় সুরে ঘোষণা দিতে হলো, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে থাকছেন না সাকিব। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়েছে তাকে।’

শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট না হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন ওই সফরে যাবেন না বলে বোর্ডকে জানিয়েছেন সাকিব। গত রোববার দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ মাধ্যমকে একই কথা বলেছিলেন তিনি। তার ‘ক্রিকেট উপভোগ করছেন না, ছুটি চান’ ওই মন্তব্যে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন ‘বড় গলায়’ সাকিব খেলবে ঘোষণা দেয়া বিসিবি বস পাপন।

সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি বস পাপন বলেন, ‘উপভোগ না করলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ কীভাবে খেলল। দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে না আগে কেন বলল না। আইপিএল কেন খেলতে চেয়েছিল। ওর জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচরা পরিকল্পনা করতে পারছে না।’

বুধবার সাকিবের ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস। প্রশ্ন বাণে তারও অসহায়ত্ব প্রকাশ ভিন্ন কিছু করার ছিল না। সাকিবের ছুটি চাওয়ার প্রশ্নে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। সাকিব সিদ্ধান্ত দেয়ার পরই ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

জালাল ইউনূস বলেন, ‘দুই দিন সময় দেয়া হয়েছিল। দু’দিন হয়ে যাওয়ায় আমিই ফোন করেছিলাম। ও (সাকিব) বলল, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পুরোটা খেলতে চাচ্ছে না। এখনও শারীরিক ও মানসিকভাবে খেলার জন্য ফিট না। খেলবে না জানিয়ে মেইল করেনি। পরে এসএমএস করে জানিয়েছে।’

বিসিবি পরিচালক জানান, মেন্টালি ফিট না বললে জোর করা যায় না। চাপিয়ে দেয়া যায় না। পরে কোন সিরিজ খেলবে, কোনটা খেলবে না সেটা নিয়ে আলাপ হয়নি। সামনে বিশ্বকাপ আছে। গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। তার সার্ভিস দলের দরকার। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর প্রায় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সেজন্য বোর্ড সভাপতি, সিইও এবং ক’জন পরিচালক মিলে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে ছুটি দেয়া হয়েছে।

সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দেয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রযোজ্য। তিনি মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠলে এবং দল পাওয়া সাপেক্ষে আইপিএল খেলতে পারবেন। খেলতে পারবেন মার্চে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। জালাল ইউনূস জানান, সাকিবকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে, তিনি কোনটা খেলবে, কোনটা খেলবে না, তা জানি না।

 

এসকেএইচ//