• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২০, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম

রাস্তার পার ভরাটের কাজে মাটির সঙ্গে কলাগাছ!

রাস্তার পার ভরাটের কাজে মাটির সঙ্গে কলাগাছ!

সিরাজদিখানে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে। রাস্তার পার ভরাটের কাজে মাটির নিচে কলাগাছ দেয়া হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নন্দনকোনা-থৈরগাঁও সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ রাস্তার দুই পার বাঁধতে মাটি ভরাটের কাজে কলাগাছ ব্যবহার করেছেন ঠিকাদার। রাস্তার সংস্কার কাজে পিচ ঢালাই করার লক্ষ্যে এখন রাস্তা প্রস্তুত হলেও, কলাগাছ পঁচে রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের আগেই রাস্তা ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি স্থানে।  

সরেজমিনে জানাযায়, উপজেলা রোড নামক ওই রাস্তার প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজের ট্রেন্ডার পায় মের্সাস মোনালিসা নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত এক মাস পূর্বে রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়। রাস্তার নন্দনকোনা-থৈরগাঁও অংশে মাটি ভরাটের কাজে একাধিক স্থানে কলাগাছ ব্যবহার করা হয়েছে। যা এখন বিভিন্ন জায়গায় ভেঙেছে এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো ভরাটে আবার বালু-মাটি-কলাগাছ ও গাছের ডাল-পালা ব্যবহার হয়েছে। 

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলার জিপসরা-তাজপুর অংশে রাস্তাটি প্রস্থে ১২ ফুট এবং তাজপুর থেকে উপজেলা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা ১৮ ফুট প্রস্থ। রাস্তার দুই ধারে ৩ ফুট করে মাটি ভরাটের কথা রয়েছে। কাজের বরাদ্দ প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। মের্সাস মোনালিসা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. বিল্লাল হোসেন রাস্তাটি পিচ ঢালাই কাজ করার লক্ষ্যে প্রস্তুত করছেন। 

স্থানীয়রা জানান, মাটি ভরাটের কাজে কলাগাছের ব্যবহার এলাকায় এই প্রথম দেখেছেন তারা। অন্যদিকে ওই কলাগাছ ঢেকে দেওয়ার কাজে (গোড়বাধ) রাস্তার পাশের নিচের অংশের মাটি কেটে এনে কোনরকম ঢেকে দেয়া হয়েছে। এখন কলাগাছ পঁচে গিয়ে ওই স্থানের মাটি দেবে গেছে। রাস্তার কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরদারি করাসহ অনিয়ম করার জন্য ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. বিল্লাল হোসেনের কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে সে লাইনটি বার বার কেটে দেন। 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শোয়াইব বিন আজাদ এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন