পঞ্চগড়ে একটি বাড়ির ১০ জনকে অচেতন করে ১ লাখ টাকাসহ ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরতলীর আহমদ নগর পূর্ব তেলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘুমে অচেতন ১০ নারী, পুরুষ ও শিশুকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের দাবি, রাতের খাবারের সাথে তাদের ঘুমের ওষুধজাতীয় কিছু খাওয়ানো হতে পারে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আহমদ নগর তেলিপাড়া এলাকায় মোছলেম উদ্দিনের বাড়িতে শুক্রবার রাতে তার বাবা আলিমদ্দিনের কুলখানি ও দোয়ার অনুষ্ঠান ছিল। এ জন্য বাড়িতে মরহুম আলিমদ্দিনের মেয়ের জামাইয়ের পরিবারের সদস্যরা ছিল। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে রাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকাল ৮টায় মোছলেম উদ্দিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়ির সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। একপর্যায়ে তিনি দেখেন বাড়ির সব ঘরের দরজা ভাঙা। একই সঙ্গে ঘর থেকে ১ লাখ টাকাসহ অতিথিদের মিলিয়ে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। এ সময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মোছলেম উদ্দিনের মা রেজিয়া বেগম (৫৫), বোন মুন্নি (৩৫), স্বপ্না বেগম (৩২), রত্না বেগম (৩১), ভাগনে মৃতুল (২১), সায়েম (১৩), খালা রাশিদা (৬০), ভাগনি সামিরা (৫), অনন্যা (৩) ও ভাতিজা মাহিনকে (৫) সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মোছলেম উদ্দিনের ছোট ভাই কুয়েত প্রবাসী সালাউদ্দিন বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবরে বাড়িতে আসি। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি বাড়ির সবাই অঘোরে ঘুমাচ্ছে। ঘরের দরজা-জানালা ভাঙার পরও আমরা টের পাইনি। কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না। আমাদের নগদ ১ লাখ টাকাসহ প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে পানির সাথে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

এনআই