• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

আগ্রাসী পদ্মা গিলে খাচ্ছে ঘরবাড়ি ও গাছপালা

আগ্রাসী পদ্মা গিলে খাচ্ছে ঘরবাড়ি ও গাছপালা
পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে বান্দুরা ইউনিয়নের হযরতপুর, সাদাপুর ও সৈয়দপুর এলাকা  -  ছবি : জাগরণ

হঠাৎ পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরা ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হযরতপুর, সাদাপুর ও সৈয়দপুর খালের ভাঙনের কবলে পড়েছে প্রায় ৫০টি পরিবার। বেশ কয়েক বছর ধরে আগ্রাসী পদ্মার পানি এই অঞ্চলের অসংখ্য ঘরবাড়ি গিলে খাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর খালটি পরিদর্শন করেই তাদের কাজ সমাপ্ত করে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি, গত কয়েক দিনে পদ্মার পানি হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে হযরতপুর-সৈয়দপুর এলাকায় খালের পাড়ে অবস্থিত বসতবাড়িগুলোর বাসিন্দারা ভাঙনের ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারছেন না। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু। যেকোনো সময় তাদের বসতবাড়ি হযরতপুর খালের গর্ভে বিলীন হয়ে ঘটতে পারে প্রাণহানির ঘটনা, এমন আশঙ্কাও করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনকবলিত এলাকায় গত তিন দিনে ৫টি বসতবাড়ি, গাছ-পালা খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার কারণে এসব পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে রাত-দিন অতিবাহিত করছে। এসব পরিবার এখনো কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে সহযোগিতা পায়নি বলে জানায় তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত রুবি বেগম বলেন, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা ভোট চাইতে বাসায় আসেন। তখন রাত আর দিন নেই, বাড়িতে বাড়িতে এসে কাউকে ভাই-বোন, খালা-খালু বলে ভোট চান। এমনকি আপনাদের সুখ-দুঃখে সব সময় পাশে থাকব, এ রকম কথা বলেন। কিন্ত এখন আমাদের ঘরবাড়ি  খালে ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, তখন তারা কোনো খোঁজখবর নেয় না। এমনকি ফোন করলে বলেন এখন ঢাকায় আছি।

ভাঙনকবলিত পরিবারের সদস্য, হযরতপুরের বাসিন্দা রুমা দেওয়ান জানান, আমার স্বামী নেই, একটা মাত্র ঘর এবং কয়েক শতাংশ জায়গা ছিল। এই ভাঙনে বসতঘরসহ জায়গা-জমি পানিতে চলে গেছে। কী করব ভেবে পাই না।

প্রায় ৪ বছর ধরেই এই গ্রামে ভাঙন ধরেছে। আজ পর্যন্ত ভাঙন রোধে স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু বলেন, কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা খালটি পরিদর্শন করেছেন। ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। ভাঙনকবলিত এলাকা আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছি।

উল্লেখ্য, দোহারের পদ্মা নদী থেকে জয়পাড়া হয়ে নবাবগঞ্জের হযরতপুর ও সৈয়দপুর খালটি ইছামতী নদীর সাথে সংযোগ হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন