• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৯:৩৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৯:৩৭ এএম

আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

পটুয়াখালীর বাউফল ও দুমকি উপজেলার আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক। স্থানীয় বাজার থেকে অনুমান নির্ভর কীটনাশক এনে তা ক্ষেতে প্রয়োগ করছেন কৃষক। পোকা দমনের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের কোন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষক। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাউফল উপজেলায় চলতি বছর (২০১৯-২০২০ অর্থবছর) ৩৬ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬,৬০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলন শীল (উফশী) এবং ১৯,৫০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে গড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন। 

অপরদিকে, দুমকি উপজেলায় চলতি বছর মোট ৬৫৫২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ২৪২৫ হেক্টর এবং ৪২২৭ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। 

স্থানীয় একাধিক কৃষক বলেন, কয়েক বছর আগে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে আমন ধানের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কৃষকরা এখন পর্যন্ত সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। 

চলতি বছর দুমকি ও বাউফল উপজেলার আমন ক্ষেতে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। 

দুমকির জলিশা গ্রামের ইদ্রিস আলী মৃধা নামের এক কৃষক বলেন, পাতা মোড়ানো পোকায় আক্রমণ করার পর থেকে আমন ক্ষেত ধুসর বর্ণ হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এখন পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা মাঠে আসেননি। 

একই গ্রামের কৃষক দুলাল হাওলাদার ও আবুল হাওলাদার বলেন, কখনও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে আসেন না। আমরা স্থানীয় বাজার থেকে কীটনাশক এনে তা ক্ষেতে প্রয়োগ করেছি। 

বাউফল উপজেলার কেশব্পুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের কৃষক চান্দু চৌকিদার বলেন, তার ক্ষেতে পোকার আক্রমণ করেছে। কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তাই তার গ্রামে গিয়ে খোঁজ খবর নেন না। 

বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সরাসরি আলো পড়ে না এমন ছায়াঘেরা জমিতে পোকার কিছুটা উপদ্রব আছে। তবে তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ডালপোতা কর্মসূচিসহ কৃষকদের সচেতন করার কাজ চলছে। সহনীয় পর্যায়ে থাকায় আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান তিনি। 

দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা বলেন, এরকম পোকার আক্রমণ স্বাভাবিক বিষয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন