• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম

চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে আহত স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যু

চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে আহত স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যু
বিস্ফোরণে আহত হওয়ার ১২ দিন পর মারা গেলেন স্কুলশিক্ষিকা ডরিন তিশা গোমেজ  -  ছবি : জাগরণ

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাথরঘাটায় রহস্যজনক বিস্ফোরণে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন স্কুলশিক্ষিকা ডরিন তিশা গোমেজের (২২) মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮।

গত ১৭ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডে কুঞ্জমণি নামের একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় হঠাৎ বিস্ফোরণে দুটি দেয়াল বিধ্বস্ত হয়। এতে আশপাশের আরও কয়েকটি বাসা এবং দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিস্ফোরণে নারী, কিশোরসহ সাতজনের মৃত্যু হয়। তাদের ৫ জনই ছিলেন পথচারী। এর মধ্যে একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এ ঘটনায় আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৪ জনকে হাসপাতালের আইসিইউতে, একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয় বলে জানান চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল হক ভুইঁয়া।

তিনি বলেন, ওইদিন মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন ডরিন তিশা গোমেজ। আইসিইউর ৭ নম্বর বেডে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ ১২ দিন চিকিৎসার পর শুক্রবার সকালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ডরিন তিশা গোমেজ পাথরঘাটার বান্ডেল রোডে সেন্ট জনস গ্রামার স্কুলের জুনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তার বাসা পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডে।

ওই স্কুলের অধ্যক্ষ পূরবী সরকার জানান, ডরিন রিকশায় করে ওইদিন স্কুলে যাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে তার রিকশার ওপর পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।

বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি গ্যাসলাইনে লিকেজ থেকে এই দুর্ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গঠিত তদন্ত কমিটি গ্যাস লাইনের লিকেজ বা রাইজার বিস্ফোরণ থেকে দুর্ঘটনার কোনো আলামত পায়নি বলে জানায়।

এনআই

আরও পড়ুন