টাঙ্গাইল শহরের আমিনবাজার এলাকায় শিশু সাইফ উদ্দিনকে (৮) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তার সৎমা সাবরিনা বেগম সিনথি। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মুনিরা সুলতানার কাছে তিনি জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিবির ওসি শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, আমিনবাজার এলাকায় সাইফের বাবা ভাড়া বাসায় থাকেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শিশু সাইফকে নিয়ে টিভি দেখছিলেন তার সৎমা। এ সময় সাইফ টিভির সাউন্ড বাড়িয়ে দেয়। বেশ কয়েকবার সাউন্ড কমাতে বললেও সাইফ টিভির সাউন্ড কমায় না। পরে সাইফের হাত-পা বেঁধে বাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন সিনথি। হাত-পা বাঁধা অবস্থায়ই সাইফকে পানির বালতির মধ্যে মুখ ডুবিয়ে রাখেন তিনি। ৩০-৪০ মিনিট পর ঘর খুলে দেখতে পান সাইফ বেঁচে নেই। পরে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে সাইফের বাবাকে ফোন দেন।
সাইফের বাবা সালাউদ্দিনকে সিনথি মোবাইলে বলেন, অজ্ঞাতনামা তিনজন দুষ্কৃতকারী তাদের বাসায় ঢুকে তার ও ছেলের হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় তারা সাইফকে বাথরুমের পানির বালতিতে ডুবিয়ে রেখেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। সিনথির ঘটনার বর্ণনা রহস্যজনক মনে হলে পুলিশ তাকে ও তার স্বামী সালাউদ্দিনকে আটক করে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সিনথি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এনআই