টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তিন স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার মানাজি টানপাড়ার আনসার আলী খানের ছেলে ইউসুফ আলী খান (২৭), সন্ধ্যানপুরের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবুল (২১) ও নাদিরাবাদের মৃত জুব্বার আলীর ছেলে সবুজ (৩০)। এর মধ্যে দুজন মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য অপরাধীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।
টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, ঘাটাইলে ৩ স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার রায়ের আদালতে ইউসুফ আলী খান এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে বাবুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। অপর আটককৃত সবুজ (বাবু) সহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সদর উদ্দিন বলেন, মেডিকেল টেস্টে প্রাথমিকভাবে ৩ ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেতে আরো সময় লাগবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঘাটাইল এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ৪ ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসে বেড়াতে বের হয়। সেখানে তাদের সাথে যোগ দেয় হৃদয় ও শাহীন নামের দুই বন্ধু। পরে তারা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে সাতকুয়ার বনে যায়। এ সময় ৫-৭ জন দুষ্কৃতকারী তাদের ঘিরে ফেলে হৃদয়, শাহীন ও রিকশাচালক আশিককে মারধর করে ৩ জনকে ধর্ষণ করে। অপর জন ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে যায়। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রেখে ৩ ছাত্রীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে ওই চার ছাত্রী তাদের একজনের নানার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মোবাইলে অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়। পরে অভিভাবকরা থানায় জানালে পুলিশ চার ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার এক স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এনআই