• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০৯:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০৯:৫১ এএম

স্ত্রী-পুত্র আটকের পর মুক্ত

বিসিবি পরিচালক শওকত আজিজের গাড়ি থেকে মাদক ও গুলি উদ্ধার

বিসিবি পরিচালক শওকত আজিজের গাড়ি থেকে মাদক ও গুলি উদ্ধার
শওকত আজিজ রাসেল - ফাইল ছবি

দেশের অন্যতম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাশেমের ছেলে ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের (৩৯) গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও গুলি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোররাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশনের সামনে তার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৮৩৭৫) থেকে ২৮ রাউন্ড গুলি, ১২শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ২৮ ক্যান বিয়ার, নগদ ২২ হাজার ৩৮০ টাকা পাওয়া যায়। এসময় গাড়িতে থাকা শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল, ছেলে আনাব আজিজ ও গাড়িচালক সুমনকে আটক করা হয়।

শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে শওকত আজিজ রাসেল ও তার গাড়িচালক সুমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেছে ডিবি পুলিশ।

এসপি হারুন অর রশীদ বলেন, তাকে ঢাকার বাসায় নামিয়ে দেয়ার পর গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার রাত আড়াইটায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তায় মগবাজার ফ্লাইওভারের কাছাকাছি পৌঁছলে যানজটে পড়েন তার গাড়িচালক জুয়েল মিয়া। এসময় জুয়েল মিয়া হর্ন দিলে সামনে থাকা সাদা রঙের একটি গাড়ির ভেতর থেকে একজন লোক এসে গাড়ির বাঁ পাশের জানালায় জোরে আঘাত করে গালিগালাজ করতে করতে বলেন ‘আমি পারটেক্স রাসেল, গাড়ির দরজা খোল’। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসপির গাড়িচালক গাড়ির গ্লাস নামিয়ে প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তি তার মাথায় পিস্তল তাক করেন। পরে তিনি জুয়েলকে পুলিশের লোক বলে বুঝতে পারেন এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এরপর এসপির গাড়িচালক ওই সাদা গাড়িটি অনুসরণ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের দিকে যেতে থাকলে এসপির দেহরক্ষী কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম ঘটনাটি ডিবি পুলিশের এসআই আবদুল জলিলকে জানান। আবদুল জলিল ফোর্স নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়ির গতিরোধ করেন। গাড়ির ভেতর তল্লাশি চালিয়ে মাদক ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় গাড়িতে রাসেলের স্ত্রী ও পুত্র থাকলেও তিনি নিজে ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, গাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত পিস্তলের গুলি ও মাদক শওকত আজিজ রাসেলের বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত করেছেন গাড়িচালক সুমন। প্রধান আসামি শওকত আজিজ রাসেল পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরার জন্য তার বাসা, গুলশান ক্লাব ও ঢাকার একটি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়েছে। 

এই ঘটনায় শনিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ছুটে আসেন পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাশেম এবং পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমএ হাশেমের স্ত্রী সুলতানা হাশেম। ডিবি কার্যালয়ে এসে শওকত আলী রাসেলের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশকে সহায়তার আশ্বাস ও মুচলেকা দিয়ে ফারাহ রাসেল ও আনাব আজিজকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান এম এ হাশেম। 

উল্লেখ্য, বিসিবির পরিচালকের পাশাপাশি শওকত আজিজ রাসেল গুলশান ক্লাবের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

এইচএম/ এফসি

আরও পড়ুন