• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৭:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৭:৪৩ পিএম

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল

ছি এত্তা কী জঞ্জাল!

ছি এত্তা কী জঞ্জাল!

ঢোকার দুই গেটের আড়ালে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালটি কারো নজরে পড়ে না। কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, দুই গেটের কারণে হাসপাতাল আঙিনার পরিবেশ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আঙিনা যেন কুকুর, বিড়াল, ছাগল আর বহিরাগতদের আস্তানা।

সরেজমিনে বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ১০০ শয্যার বিশেষায়িত এ হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, উত্তর গেটে একটি পকেট গেটও আছে। এই পকেট গেট ঘেঁষা সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে প্রচুর আখ বিক্রি করা হচ্ছিল। এছাড়াও গেটের মুখে একটি বড় বস্তা ফেলা ছিল। উত্তর গেটের আরেক পাশে বসা ছিল ফলমূলের দোকান। গেটের ভেতর বামদিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, পিকাপভ্যান, মোটর রিকশা বিক্ষিপ্তভাবে পার্কিং করা ছিল। যা অননুমোদিত। ডানদিকে লোহার গ্রিল বসানো, এরপর বিশাল ফাঁকা স্থান। সেখানে মহাখালী সাততলা বস্তিতে বসবাসরত শিশু-কিশোররা খেলাধূলায় ব্যস্ত। ফাঁকাস্থানের বিভিন্ন অংশে ইটের টুকরা, নোংরা পানি জমে একাকার।পুরো হাসপাতালে দেখা যায়, বিক্ষিপ্তভাবে এখানে-সেখানে নানা ধরনের ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

দক্ষিণ অংশে অবস্থিত হাসপাতালের প্রধান গেট। সেখানে গেলে দেখা যায়, গেটের অর্ধেক অংশ দখল করে বিক্রি করা হচ্ছে প্লাস্টিকজাত সামগ্রী। গেটের ভেতরে দু’পাশে দুটি অস্থায়ী চায়ের দোকান। একপাশে ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। হাসপাতালের পূর্ব অংশে খালি জায়গা রয়েছে। যেখানে খেলায় মেতে আছে সাততলা বস্তির শিশু-কিশোরা।

হাসপাতালের দক্ষিণ গেট প্রধান হলেও বেশিরভাগ রোগীরা প্রবেশ করেন উত্তর গেট দিয়ে। উত্তর গেট হয়ে সরাসরি দক্ষিণ গেটে গিয়ে প্রধান সড়কে যাওয়ার একটি রাস্তা আছে। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বহিরাগতরা তো বটেই, রিকশা, মোটর চালিত রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, পিকাপ ভ্যান, মিনি ট্রাক নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালের ভেতর দিয়ে যাতায়াতের সড়ক বন্ধ করলে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা কিছুটা ফেরানো যাবে। যে গেট দিয়ে রোগী বেশি প্রবেশ করেন বা প্রবেশ করতে সুবিধা মনে করেন সেই গেটই উন্মুক্ত রাখতে হবে। না হলে এই হাসপাতালের পরিবেশ কোনোভাবেই সাজানো যাবে না। গেটের পাশাপাশি বড় সমস্যা হল হাসপাতালের পাশেই বস্তি। বস্তির লোকজন, শিশু-কিশোররা হাসপাতালের পরিবেশ বিশৃঙ্খল করে ফেলে। এসবে বাধা দিতে গেলে অনেক সময় হুমকি-ধামকি বা খারাপ আচরণের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের জন্য কোনো নিরাপত্তাকর্মী বা পরিচ্ছন্নকর্মী নেই। এসব না হলে পরিবেশ ভাল করা যাচ্ছে না। পরিবেশের কারণে রোগী ব্যবস্থাপনা করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে রোগী আসতেও চায় না।

সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. ভোলানাথ বসাক দৈনিক জাগরণকে বলেন, একটি গেট আটকে ভেতরের রাস্তা বন্ধ দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই, এটা সরকার পারবে। এটা করা গেলে পরিবেশ কিছুটা উন্নত হবে। এছাড়াও হাসপাতাল দেখাশোনার জন্য আমাদের লোকবলও সঙ্কট রয়েছে।

আরএম/একেএস
 

আরও পড়ুন