• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ১২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ১২:০৪ পিএম

সাংবাদিক শিমুল হত্যা : বিচার ট্রাইব্যুনালেই চলবে

সাংবাদিক শিমুল হত্যা : বিচার ট্রাইব্যুনালেই চলবে

সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থগিতের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ মামলা স্থগিত চেয়ে আসামিদের রিট খারিজ করে আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর)  প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আইনজীবীরা বলছেন, সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা চলতে আইনি বাধা নেই।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী  আব্দুল আলিম জুয়েল।

গত ২৯ আগস্ট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক শিমুল হত‌্যা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিমুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। এর ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে আজ শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিরাজগঞ্জ আদালত থেকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন হাবিবুল হক মিন্টুসহ আসামিরা। বর্তমানে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।

২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে অপহরণের পর মেয়র মিরুর বাড়িতে আটকে রেখে তার দুই সহোদর কর্তৃক মারপিটের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মিরুর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন মারা যান শিমুল।

এ ঘটনায় মিরু ও তার সহোদর মিন্টুসহ ৪০ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী। মামলা দায়েরের ৩ মাস পর ২০১৭ সালের ২ মে শাহজাদপুর আমলি আদালতে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি এই মামলার বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য শাহজাদপুর আমলি আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

এমএ / এফসি

আরও পড়ুন