• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৪:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৪:৪৭ পিএম

প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেফতার না করার নির্দেশ

প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেফতার না করার নির্দেশ
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান -ছবি : সংগৃহীত

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ ছয়জনকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রাজধানীর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় এই আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন। তবে সোমবার (২০ জানুয়ারি) আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতে মতিউর রহমানসহ ছয়জনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম আমির-উল ইসলাম।  তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

জামিন আবেদন করা অন্য চারজন হলেন- কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার এবং নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে হাইকোর্ট থেকে জামিন আবেদনের জন্য অনুমতি নিয়ে আবেদন করেন মতিউর রহমানসহ ছয়জনের আইনজীবী। এ সময় জামিন শুনানিরও আবেদন জানানো হয়। আদালত সোমবার (২০ জানুয়ারি) শুনানির জন্য প্রথমে সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু জামিন আবেদনের পক্ষের আইনজীবী এম আমির-উল ইসলাম রোববার ‘নো অ্যারেস্ট নো হ্যারাস’— এমন আদেশ চাইলে আদালত বিকাল সাড়ে ৩টার পর বসবেন বলে জানান।

১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির  নির্দেশ দেন।

এর আগে নাইমুল আবরার নিহত হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

জামিন নিতে হাইকোর্টে উপস্থিত মতিউর রহমানসহ অন্যরা
প্রতিবেদনটিতে মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়াও কবির বকুল, শুভাশিস প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহ পরাণ তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হাওলাদারকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়।

ওইদিন আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছিল। একইসঙ্গে এ ঘটনায় আর কারা জড়িত এবং কার কী দায় রয়েছে, তা তদন্তের জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। স্বল্প সময়ের মধ্যেই এর প্রতিবেদন দাখিল করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল, সে ধারাতেই কিশোর আলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১০ জনকে ঘটনার জন্য দায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া এই ধারায় বিচারে চূড়ান্তভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এমএ/এসএমএম

আরও পড়ুন