• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০১৯, ১১:৪৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০১৯, ১১:৪৫ এএম

মানবতাবিরোধী অপরাধ

রাজশাহীর সামাদের বিষয়ে রায় মঙ্গলবার

রাজশাহীর সামাদের বিষয়ে রায় মঙ্গলবার
আবদুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা রাজাকার

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর আবদুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসার রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট)। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই দিন ধার্য করেন।

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলাকালীন নাশকতার অন্য এক মামলায় গ্রেফতার হন সামাদ। ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমভাগ এবং গোটিয়া গ্রামে আাদিবাসী ও বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালান আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা রাজাকার।

এ সময় তার নেতৃত্বে সেখানে চলে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুঠিয়া আক্রমণ করে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে মুসা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন। একাত্তরের ১৯ এপ্রিল তিনি ৩০-৪০ জন হানাদার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যান। সেখানে তারা ২১ জনকে আটক করেন। তাদের নিয়ে রাখা হয় গোটিয়া গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের বাড়িতে। সেখানে দিনভর নির্যাতন করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। হত্যা করা হয় চারজনকে। পুঠিয়ার দুর্গাপুরে তার নির্দেশে তাদের গুলি করে মারা হয়। এরপর মুসার নির্দেশে পশ্চিমভাগ মাদ্রাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আক্কেল আলীর ছেলে আবদুস সাত্তারকে। মুসা পশ্চিমভাগ সাঁওতাল পাড়ার আদিবাসী লাডে হেমব্রমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এমএ/এসএমএম 

আরও পড়ুন