• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৯:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৯:২৩ পিএম

দারুণ কিছুর আভাস দিয়েও টাইগাররা থামলো ১৫৩ রানে

দারুণ কিছুর আভাস দিয়েও টাইগাররা থামলো ১৫৩ রানে

শুরুটা হয়েছিল দূর্দান্ত। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও নাঈম শেখের ব্যাটে দারুণ কিছুর আভাসও মিলেছিল। আত্মবিশ্বাসী টাইগারদের বিপক্ষে ভারতীয় ক্রিকেটারদের লাগছিল বেশ নড়বড়ে। তবে হঠাৎই ছন্দপতনে এলোমেলো হয়ে গেছে সব। একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা-যাওয়ার মিছিলে রানপাহাড়ে চড়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে সংগ্রহটা একেবারেই কম নয়। সিরিজ বাঁচাতে ভারতের বিপক্ষে ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

রাজকোটে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ইনিংস উদ্বোধনী এসে দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো তুলোধোনা করেন। এই দুই জনের ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। দ্বীপক চাহারের করা ‍প্রথম ওভারে শেষ বল থেকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যার শুরু করেন লিটন দাস। 

এরপর দ্বিতীয় ওভারে প্রথম তিন বল থেকে টানা তিনটি চার মারেন গত ম্যাচেই অভিষেক হওয়া নাঈম শেখ। ওই ওভার থেকে ১৪ রান তুলেন তিনি। তৃতীয় ওভার থেকে ৪ ও চতুর্থ ওভার থেকে ৭ রান তুলেন লিটন ও নাঈম। 

তারপরের ওভারেই আবারও খলিলকে পেয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেন নাঈম। তাকে দুই চার হাঁকান তিনি। পরের ওভারেই স্পিনার নিয়ে আসেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হয়ে যেতে পারতেন লিটন। স্টাম্পিং হওয়ার পরও স্টাম্প পার করার আগেই বল ধরে ফেলায় বেঁচে যান লিটন। পরের দুই বলেই দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অবশ্য তার সদ্বব্যবহারও করেন তিনি। এরপর আবারও জীবন পান লিটন, তার ক্যাচ ফেলেন রোহিত শর্মা। 

কিন্তু তৃতীয়বারে আর বাঁচতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। চাহালের গুগলি বুঝতে পারেননি তিনি, বল গিয়ে লাগে প্যাডে। বলও ছিল স্টাম্পের পাশেই, কিন্তু অযথাই দৌঁড় দিয়ে ২১ বলে ২৯ রান করে রান আউট হন তিনি। ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের।

দলীয় ৮৩ রানে পাঁচ চারে ৩১ বলে ৩৬ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে শ্রেয়াস আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নাঈম। উইকেটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি আগের ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিমও। এরপর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ৩০ রান করে চাহালের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সৌম্য সরকারও। আফিফ ফেরেন ৬ রানে। 

এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনিও ১৯তম ওভারে ২১ বলে ৩০ রান করে ফিরলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে।

এমএইচবি 

আরও পড়ুন