• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৩:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম

‘ফতুল্লার বাড়িটি ছিল নব্য জেএমবির ট্রানজিট’

‘ফতুল্লার বাড়িটি ছিল নব্য জেএমবির ট্রানজিট’
বোমা ও বিস্ফোরক উদ্ধারে রোবট ব্যবহার করে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট-ছবি : জাগরণ

জ ঙ্গি  আ স্তা না

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিহারচরের তক্কার মাঠ এলাকার বাড়িটি নব্য জেএমবির যোগাযোগের ঠিকানা। ওই বাড়িতে বসে তাদের পরিকল্পনা ও বোমা ও বোমার সরঞ্জাম রাখার নিরাপদ স্থান। শুধু তাই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় সেখান থেকে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সব কিছু সরবরাহ করা হতো। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য স্থানে জঙ্গিরা থাকতে না পেরে এ বাড়িটি নিরাপদ মনে করছিল। মূলত এ বাড়িটিকে তারা ট্রানজিট হিসেবে নিয়েছিল বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।   

তিনি জানান, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাত থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা তক্কার মাঠ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে। এ সময় ওই বাড়ি থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- বাড়ির মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে ফরিদ উদ্দীন (২৭) ও জামাল উদ্দীন (২৩) এবং ফরিদ উদ্দীনের স্ত্রী জান্নাতুল ফোয়ারা অনু (২৭)। এরা নব্য জেএমবি সদস্য। 

স্থানীয় সূত্র বলেছে, গ্রেফতার জামাল উদ্দিন রাজধানীর আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্র কৌশল বিভাগে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। তার ভাই ফরিদ উদ্দিন ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।  

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর বাড়িটিতে মূল অভিযান শুরু হয়েছে। ওই বাড়িতে থাকা বোমা ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে কাজ করছে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট। এ কাজে রোবট ব্যবহার করা হয়।

অভিযানের তথ্য তুলে ধরছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম-ছবি : সংগৃহীত 

এরই মধ্যে বোম্ব ডিস্পোজল ইউনিট ২টি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান মনিরুল ইসলাম। এ সময় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা আটক হয়েছে তারা মূলত নব্য জেএমবির সদস্য। অভিযোগের ভিত্তিতে জামাল উদ্দীন রফিককে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। পরে জঙ্গি আস্তানা থেকে তার ভাই ও ভাবিকে আটক করা হয়। তারা এ বাড়িতে বসে দেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। এ জঙ্গি আস্তানায় বোমা ও বিস্ফোরক রয়েছে। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করতে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট কাজ করছে। এখানকার বোমা ও বিস্ফোরকের সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া বোমা ও বিস্ফোরকের মিল রয়েছে।

তিনি বলেন, যে বাড়িতে বোমা তৈরি করা হয় সেখানে আগে ৬টি টিনশেড রুমে ৬টি পরিবার থাকতো। প্রায় ৭ মাস আগে বাড়িতে বহুতল ভবন করার কথা বলে বাড়ির মালিকের ছেলে ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দেন। কিন্তু ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দেয়ার ৭ মাসেও কোনও ভবন করা হয় নি। এ বাড়িতে জঙ্গি সদস্যদের প্রতিনিয়ত আনাগোনা ছিল। এখানে বসে বোমা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকার জঙ্গিদের সঙ্গে দেয়া হতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা থাকায় মূলত এ বাড়িটি ছিল নব্য জেএমবির ট্রানজিট। 

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন