• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২০, ০৭:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২০, ০৭:৪৮ পিএম

গরুর মাংস এখন বিলাসিতা

গরুর মাংস এখন বিলাসিতা
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস ( কোভিড-১৯) উদ্ভূত সঙ্কট, চলমান রোজা ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সিটি করপোরেশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আগামী ঈদ পর্যন্ত গরুর মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)।

মঙ্গলবার ( ২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ এ দাবি জানিয়ে বলেন, রোজা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর রাজধানীতে গরুর মাংসের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বিগত ৪৫ বছর ধরে এই নিয়ম চলে আসলেও এবার তা করা হয়নি। ফলে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও ৬৫০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে গরুর মাংস এখন বিলাসী খাদ্যে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঈদের আগে আরও দাম বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

পলাশ মাহমুদ বলেন, এক মাস আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৯০০ টাকা বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হওয়া চালের দাম এখন ২৫০০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদা এখন ৩০০ টাকার বেশি। গত দেড় মাসে চাল, ডাল, তেল, চিনি, দুধ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মরিচ, হলুদ থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কোনও কোনও পণ্যের দাম ২ থেকে ৩ গুণও বেড়েছে। দেশজুড়ে কৃষকদের উৎপাদিত তরল দুধ অবিক্রিত থাকলেও পাস্তুরিত দূধের দাম বেড়েছে। বিষয়টি একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিসিএস বলছে, কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শ্রমিক, দিনমজুর, হকার, রিকশাচালকসহ নিত্য আয়ের মানুষের উপার্জন বন্ধ। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত প্রায় ৬ কোটি মানুষ বিপাকে রয়েছে। অসহায় হয়ে পড়া এসব মানুষ পরিবারের ভরণপোষণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এমতাবস্থায় নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি খুবই অমানবিক। মানুষ যেন প্রয়োজনীয় পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করতে পারে সেজন্য নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া সরকারের দায়িত্ব। বিশেষ করে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসা দেয়া যেমন জরুরি তেমনি এই মহামারি থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য মানুষের ঘরে থাকাও জরুরি। ঘরে থাকার ফলে একদিকে উপার্জন বন্ধ অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যও বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের এমন  ঊর্ধ্বগতিতে ভোক্তা সাধারণের  নাভিশ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় মানুষকে ঘরে রাখতে হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ।

এসএমএম

আরও পড়ুন