• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৩:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৫:১৪ পিএম

ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই : ড. মোশাররফ

ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই : ড. মোশাররফ
বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ডিএসএসসি নির্বাচনে বিএনপির সমন্বয়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ● জাগরণ

সিটি নির্বাচনের আর মাত্র তিনদিন বাকি। এখন পর্যন্ত ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসএসসি নির্বাচনে বিএনপির সমন্বয়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন মানেই বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে তামাশা ও প্রশাসনিকভাবে কেন্দ্র দখল করে সিল মারার উৎসব। কখনও কখনও দিনের ভোট আগের রাতেই সম্পন্ন করে ফেলা। হরেক রকম কারসাজি ও তামাশাপূর্ণ এখন বাংলাদেশের নির্বাচন। তাই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন কোনও আগ্রহ নেই।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ সাংগঠনিক আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দান এবং প্রচার প্রচারণা শুরু থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অব্যাহতভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আমাদের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে হামলা দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ করার পরও কোনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। বরং তারা বরাবরের মতোই নির্বিকার। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও ঠিক হয়নি। অথচ এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বলছে তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছেন। কিন্তু বাস্তবে আমরা তার কিছুই দেখছি না। এ কারণে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সব নির্বাচনের মতোই যেন তামাশা, প্রহসনে পরিণত না হয়।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মামলা-হামলা, হয়রানি প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, এসব ঘটনার পরও নির্বাচন কমিশন থেকে ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ২৬ জানুয়ারি (রোববার) গোপীবাগের আমাদের প্রচারণায় হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় উল্টো আমাদের ২০০ নেতা-কর্মীদের মামলা দেয়া হয়েছে, তাদের বাড়ি-ঘর ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটাই হলো নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর বাস্তবতা। একচোখা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ন্যক্কারজনক আচরণে এই নির্বাচনকে যদি গতানুগতিক প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করা হয়, এমন পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।

ইভিএম প্রসঙ্গে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই বলেছি, আমরা ইভিএমের পক্ষে নই। কারণ পৃথিবীর কোনও দেশেই ইভিএমকে গ্রহণ করে নাই। কারণ এর মাধ্যমেই ভোট কারচুপি করা সম্ভব। ভোটের ফলাফল বানচাল করা যায়। আমরা এখনও দাবি করছি ইভিএম নয় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা হোক।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার কথা জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু। নির্বাচনের একদিন আগে এমন সমাবেশ ও গণমিছিল নির্বাচনে আচরণবিধির পরিষ্কার লঙ্ঘন উল্লেখ করে এবং এ সমাবেশ না করার আহ্বান জানিয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশ করবেন এবং সেখান থেকে গণমিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরে যাবেন। এখানে বলতে চাই এটা নির্বাচনের আচরণবিধি পরিষ্কার লঙ্ঘন। আপনারা এ সমাবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।

মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ভোটের দিন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভোটের মাঠে সকল ধরনের দায়িত্ব পালন করবে। হামলা-মামলা হুমকি-ধামকি সেগুলা অপেক্ষা করে যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমাদের কর্মীরা মাঠে থাকবে।

তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে একটি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে সেখানে মুক্তির বিজয় পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হবে।

ইশরাক আরও বলেন, এ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতা পেয়েছি। অনেককে দেখেছি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে। কিন্তু ওয়ারী থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তা দলীয় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের এই থানার অধীনে তিনটি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে বিএনপিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মী যারা আছে  তাদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা করা হয়েছে।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন