তাকে অযথা ‘ইমপিচ’ করা হচ্ছে। তার কোনও দোষ নেই। এমনটাই মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে তার টুইটে রীতমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমি কোনও দোষ করিনি। আমাকে অযথা ইমপিচ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত অন্যায়।’’
আগামী বছর মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইমপিচমেন্টই আগামী দিনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে বিরোধীদের।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করার প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসের কমিটি অনুমোদন করায় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। ফলে সেখানে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটি পাস হয়ে যাবে বলেই সকলের ধারণা। তারপর প্রস্তাবটি আসবে ১০০ সদস্যের সেনেটে। সেখানে অবশ্য ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার ব্যাপারে যারা মূল উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই র্যাডিকাল লেফ্ট (অতিবামপন্থী)ও ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, গতকালের টুইটে।
লিখেছেন, ‘‘র্যাডিকাল লেফ্ট আর নিষ্কর্মা ডেমোক্র্যাটরা সকলেরই ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠছেন। আমাদের দেশের পক্ষে ওদের মতো খারাপ আর কিছু হয় না।’’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, এই ইমপিচমেন্ট আদতে বিরোধীদের একটা ‘ধাপ্পাবাজি’ আর ‘রাজনৈতিক চাল’।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এটা একটা ধাপ্পাবাজি। একটা রাজনৈতিক চাল। ইমপিচমেন্টের কথা ওঠে খুব জরুরি কিছু ঘটলে। ডেমোক্র্যাটদের জন্য ওবামা (পূর্বতন মার্কিন প্রেসিডেন্ট) যা করেছিলেন, আমি ওদের জন্য তারচেয়ে বেশি করেছি। তারপরেও আমার বিরুদ্ধে ওরা এই প্রস্তাব এনেছেন।’’
এর জেরে আগামী দিনে কোনও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টও রিপাবলিকান সদস্যে ভরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে পারেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।আনন্দবাজার।
এসএমএম