• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৯:০৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৯:০৫ এএম

ক্যাসিনো খালেদ ও শামীমকে রিমান্ডে নেবে সিআইডি 

ক্যাসিনো খালেদ ও শামীমকে রিমান্ডে নেবে সিআইডি 

মানি লন্ডারিং আইনে ক্যাসিনো হোতা গ্রেফতার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সিআইডি হেফাজতে নেয়া হচ্ছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির প্রধান ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ।

পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই একই থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করতে পারে নি।

যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীমকে রিমান্ডে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বর্তমানে খালেদ ও শামীম র‌্যাবের হেফাজতে রয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব। এর আগে তাদের রিমান্ডে নিয়ে ডিবি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে।

সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদের জানান, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় তার সাত দেহরক্ষীকে আসামি করা হয়েছে। এ কারণে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের প্রথম দিন রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগের পরিচয়দানকারী ঠিকাদার জি কে শামীমকে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলার পাশাপাশি মানি লন্ডারিং আইনে গুলশান থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই দুটি মামলার তদন্তভার পেয়েছে সিআইডি।

২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানীর পুরান ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই একই থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ভবন থেকে পাঁচ কোটি টাকা ও আট কেজি স্বর্ণালংকার উদ্ধারের ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় দুটি মামলা করে র‌্যাব। এর একটি স্পেশাল অ্যাক্টে; অন্যটি মানি লন্ডারিং আইনে। মানি লন্ডারিং আইনের মামলা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, এনু ও রুপনকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন