• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০৮:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ০৮:০৪ পিএম

‘ফি না নিয়ে গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন নুসরাতে আইনজীবীরা’

‘ফি না নিয়ে গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন নুসরাতে আইনজীবীরা’
নুসরাত জাহান রাফি

ফেনীর নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় কোনও ফি না নিয়ে মামলা পরিচালনা করে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।    

খুলনা বিভাগীয় আইনজীবী সমিতি, ঢাকার কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ হোসেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, নুসরাতের বর্বরোচিত ঘটনা যখন ঘটে তখন কিন্তু মনে হয় যে আদিম অসভ্য জায়গা থেকে ফিরিয়ে আসছি নাকি সাপলুড়ু খেলার মতো আবার সেই পেছনের জায়গায় আমরা ফিরে গেছি। তারপরও আইনজীবীরা বিশাল ভূমিকা পালন করেছেন। নুসরাতের নির্মম হত্যাকাণ্ডে আইনজীবীরা সেখানে পারিতোষিক নেননি বাদী পক্ষে যারা ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাদের একটা গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছেন তারা।

এ মামলার বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইনের শাসনের ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। এত দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত সম্পন্ন করা বিচার শেষ হওয়া এবং প্রত্যাশিত দণ্ড আরোপ করার সুযোগ আইনি প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনজীবীদের ও আইন অঙ্গনে বিচার ব্যবস্থার একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।

অতীতের কথা উল্লেখ শ ম রেজাউল করিম বলেন, একটা সময় ছিলো দায়মুক্তির সংস্কৃতিতে অধঃপতিত ছিলাম আমরা। যেখানে বলতে চাই প্রায়ই, যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটেছিলো। সে জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি। 

‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা দাম্ভিকতার সঙ্গে বলতে পারে না যে, আমরা অপরাধ করেছি, আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, বিশ্বজিৎ খুন ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার একজন সংসদ সদস্যের দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড হয়েছে। তার মামলা প্রত্যাহার হয়নি।

চলমান শুদ্ধি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা দল থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন। গ্রেফতার হচ্ছেন, রিমান্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কে তার দলের লোক কে তার আত্মীয় কে কতটা প্রভাবশালী তা তিনি দেখছেন না। গণভবনে অনেককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন। 

‘আমাদের মধ্যেও অনেকে আতঙ্কিত। না জানি কালকে সকালে কার কার ওপর নোটিশ আসে। আমি মনে করি এটা সময়ের চাহিদা এবং বাস্তবতায় হওয়া উচিত। আমি ক্ষমতাসীন দল করলে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থাকবো এটা হতে পারে না।’  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

এমএ/এসএমএম 

আরও পড়ুন