• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০১৯, ১০:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২১, ২০১৯, ১০:১১ পিএম

সাড়ম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বিএনপি  

সাড়ম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বিএনপি  
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -ছবি : জাগরণ

সাড়ম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এজন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আগামী বছর স্বাধীনতার অর্ধশতবর্ষ। বছরব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার জন্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান করে উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে তার মুক্তির দাবিতে ‘কার্যকর আন্দোলন’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

বৈঠকে সদ্য প্রয়াত ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় একটি কলঙ্ক বলে মনে করি। সেই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোট ও বিএনপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 

জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবসহ অন্যান্যরা-ছবি : জাগরণ

রোহিঙ্গায় গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার জন্য গাম্বিয়া, নেদারল্যান্ড, কানাডাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি চিঠি দেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

ভারতের এনআরসি নিয়ে বিএনপি তার অবস্থান জানিয়ে রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ১৯ জানুয়ারি পালনেরও সিদ্ধান্ত হয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।

গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল  বলেন, আমরা যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল, আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সব সময় সহযোগিতা করি, স্বাগত জানাই এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যেহেতু নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হয়েছে। আমরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা আশা করবো, এই নতুন কার্যকরি পরিষদ গঠিত হয়েছে, এই কার্যকরি পরিষদ তাদের অতীতের অপকর্মগুলোকে ভুলে গিয়ে জনগনের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করবার জন্যে তারা অতিদ্রুত একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। যে নির্বাচনটি একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচাললায় অনুষ্ঠিত হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেবে।

বৈঠকে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন