• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০১৯, ০৭:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২১, ২০১৯, ০৭:১২ পিএম

আমার কোনো অনুশোচনা নেই: ধর্মসেনা 

আমার কোনো অনুশোচনা নেই: ধর্মসেনা 
বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই বিতর্কিত ওভার থ্রোতে ৬ রান দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন কুমার ধর্মসেনা

আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে ওভার থ্রোতে ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মনে করছেন ওই ম্যাচের অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। তার দেয়া ওই সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ভাগ্য গড়ে দিলেও এ ভুলে কোনো অনুশোচনা বোধ করছেন না বলেও জানিয়েছেন লঙ্কান এই আম্পায়ার। 

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রান নেয়ার সময় বাউন্ডারি লাইন থেকে গাপটিলের ছোঁড়া বল বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়। তবে শুধুমাত্র এই চার নিয়েই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েনি। অনেকেই এর সঙ্গে দাবি করেন, মোট ছয় রান দেয়া উচিত হয়নি। কারণ বল যখন থ্রো করা হয়েছিল তখন দুই ব্যাটসম্যান একে অপরকে ক্রস করেননি। তাই হিসেব মতো এটি পাঁচ রান হওয়ার কথা। কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ইংল্যান্ডকে ৬ রান প্রদান করেন। ৩ বলে ৯ রানের সমীকরণ থেকে ভাগ্যগুণে ইংল্যান্ড পৌঁছে যায় ২ বলে ৩ রানের সহজ সমীকরনে।

ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। শেষ দুই বলে ২ রান নিলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে দুই দলই সমান ১৫ রান করে নিলে ম্যাচের মীমাংসা হয় বাউন্ডারি সংখ্যার ভিত্তিতে। সেখানে এগিয়ে থেকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড। 

ভুল স্বীকার করে নিয়ে সানডে টাইমসকে ধর্মসেনা বলেছেন, 'টিভিতে রিপ্লে দেখার পর মন্তব্য করা দর্শকদের পক্ষে অনেক সহজ। আমিও যখন টিভি রিপ্লেতে ওই ঘটনা এখন দেখি, বুঝতে পারি যে আমার ভুল হয়েছিল। কিন্তু মাঠে বসে টিভি রিপ্লে দেখার মতো বিলাসিতার ব্যবস্থা আমাদের থাকে না, তাই আমি যে ভুল করেছি তার জন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই। তার ওপর আমি যখন ওই সিদ্ধান্ত নেই, তখন আইসিসিও আমার প্রশংসা করেছিল।'  

অনেকেই অভিযোগ করছেন, ধর্মসেনা কেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে গেলেন না? এ ব্যাপারে আইসিসির এলিট প্যানেলের এই আম্পায়ারের যুক্তি, 'কোনো উইকেট পতনের সম্ভাবনা না থাকায় ওই সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠানোর বিধান ছিল না। লেগ আম্পায়ারে সঙ্গে যোগাযোগ যন্ত্রে কথা বলেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ম্যাচ রেফারি ও অন্য সব আম্পায়াররাই তা শুনতে পেরেছিল। টিভি রিপ্লের ব্যবস্থা না থাকায় সবাই আমার সঙ্গে একমত ছিলো তখন।'  

এমএইচএস 

আরও পড়ুন