• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০১৯, ০৯:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩১, ২০১৯, ১০:০০ পিএম

ভিক্ষুক কর্মসূচির টাকা মেরে খেলেন জামালপুরের সেই ডিসি!

ভিক্ষুক কর্মসূচির টাকা মেরে খেলেন জামালপুরের সেই ডিসি!
জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর-ফাইল ছবি

কাজির গরু খাতাকলমে আছে, গোয়ালে নেই। এমন অবস্থা এখন ভিক্ষুকমুক্ত জামালপুর ঘোষণায়। ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচির পুরোটাই ভেস্তে গেছে। এই কর্মসূচির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নারী কেলেঙ্কারিতে আলোচিত সেই ডিসি আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে। অনিয়ম-দুর্নীতি দুদককে খতিয়ে দেখে আহমেদ কবীরকে বিচারের মুখোমুখি করতে দাবি জানিয়েছেন জামালপুরবাসী। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ।

শনিবার (৩১আগস্ট) জামালপুর জেলায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি নিয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হলেও প্রকৃতপক্ষে ভিক্ষুকমুক্ত হয়নি জামালপুর। সেই আগের অবস্থায় রয়েছে ভিক্ষুকের চিত্র। জামালপুর আসলে পথে-ঘাটে, অফিস-আদালতে এখনও ভিক্ষুকদের আনাগোনা দেখা যায়। 

জামালপুরকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য নবাগত জেলা প্রশাসক এনামুল হককে তাগিদ দেন আবুল কালাম আজাদ।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে ভিক্ষুকমুক্ত জামালপুর গড়ার কর্মসূচি হাতে নেয় জেলা প্রশাসন। কর্মসূচি সফলে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৫০ লাখ, জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন থেকে ৫০ লাখসহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ অনুদান নেয়া হয়। অনুদানের টাকায় শুরু হয় ‘ভিক্ষুকমুক্ত জামালপুর’ কর্মসূচি। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভিক্ষুকের তালিকা করা হয়। তবে তালিকায় প্রকৃত ভিক্ষুকদের নাম উঠেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। যদিও কিছু ভিক্ষুককে ভ্যানগাড়ি, ছাগল ও নগদ অর্থ দেয়া হয়।

জামালপুরের একাধিক ভিক্ষুক জানান, জেলা প্রশাসন থেকে কোনও অনুদান পায়নি তারা। তালিকা করতে তাদের কাছে কেউ আসেনি। তারা বলেন, ‘অনুদানও পেলাম না অথচ দোকানপাট বাসাবাড়িতে ভিক্ষা করতে গেলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। ভিক্ষা করতে গেলে বলে ডিসি ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেছে, তোমরা ভিক্ষা করতে এসেছো কেন? রাস্তায় বের হলেও পুলিশেও ধরে।’

জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক রাজু আহমেদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, ‘ভিক্ষুকমুক্ত জামালপুর; কর্মসূচি সমাজসেবা থেকে করা হয়নি। সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর নিজ উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এই অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।’

জামালপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক এনামুল হক চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 

আরও পড়ুন