• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৪:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৪:৫৭ পিএম

ইশরাকের নির্বাচনি কাজে বাধা হবে না দুদকের মামলা : ইসি সচিব

ইশরাকের নির্বাচনি কাজে বাধা হবে না দুদকের মামলা : ইসি সচিব
ইসি সচিব মো. আলমগীর-ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় ইশরাক হোসেনের নির্বাচনি কাজে কোনও বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের মামলায় ইশরাকের বিচার শুরু হয়েছে- এ বিষয়ে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল কোনও প্রার্থী বা তার পক্ষে যদি নির্বাচন পরিচালনা বা সমর্থন যারা করবেন তাদের যেনো গ্রেফতার বা হয়রানি করা না হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে মামলা সেটা পুরনো মামলা। এটা একটা দুর্নীতির মামলা। তবে বিষয়টি এ ধরনের না যে এখনই গ্রেফতার করতে হবে। মামলার বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে, এটা আমাদের বা পুলিশের পক্ষ থেকে না। এটা আদালতে শুনানি হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে একটি তারিখ ঠিক হয়েছে তখন শুনানি দেবেন তারা। এর ফলে তো নির্বাচনের প্রচারণায় কোনও বাধা নেই।

তিনি বলেন, তাকে (ইশরাক) গ্রেফতারও করা হচ্ছে না, এমনকি কোনও বাধার সৃষ্টিও করা হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াগতভাবে হবে। তিনি নির্বাচন করবেন, প্রচারণাও করবেন। এটার কারণে তো নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোনও বাধা নেই।

ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।

সম্পদের তথ্য-বিবরণী চেয়ে দুদক ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তার বোন সারিকা সাদেককে আলাদা নোটিশ দিয়েছিল। নোটিশে তাদের নিজের নামে এবং তাদের ওপর নির্ভশীল ব্যক্তিদের স্বনামে বা বেনামে বা তাদের পক্ষে অন্য কোনও নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ-সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎসসহ বিস্তারিত বিবরণ সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা না দেয়ায় দুদকের সহকারী পরিচালক সামছুল আলম ২০১০ সালের ২৯ ও ৩০ আগস্ট রমনা থানায় দুটি মামলা করেন।

ইশরাক ও সারিকা দুদকের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করলেও বিফল হন। ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৯ সালের ৫ মে অভিযোগপত্র আমলে নেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য যান ইশরাক। তখন চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন