• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৮:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৯:১৬ পিএম

‘৫৩ কেন্দ্রে পূজা ও ভোট হবে একসাথে’

‘৫৩ কেন্দ্রে পূজা ও ভোট হবে একসাথে’

‘নির্বাচনের সময় ঢাকাকে বহিরাগতমুক্ত করা সম্ভব নয়’

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৩টি কেন্দ্রে একইসাথে পূজা ও ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন(ইসি) সচিব মো. আলমগীর। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে রয়েছে ২৭টি এবং দক্ষিণে ২৬টি কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা‌দের নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে ইসি সচিব এ কথা জানান।

আলমগীর বলেন, ৩০ তারিখেই ভোটের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। তবে আদালতের নির্দেশনা মেনে নেয়া হবে। সবসময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কোনও আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনও কাজ যদি সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সেটা পরিবর্তন করে দেয়ার ক্ষমতা আদালতের আছে।

তিনি বলেন, কোন কোন কেন্দ্রে পূজা ও ভোট একসাথে হবে তার খসড়া করেছে কমিশন। এতে দেখা গেছে, উত্তর সিটিতে ১৩১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রে সরস্বতী পূজা ও ভোট একসাথে হবে।

ইসি সচিব বলেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা শহর থেকে বহিরাগতদের বের করার কোনও সুযোগ নেই। কারণ ঢাকা শহরে সারাদেশ থেকে লোকজন আসেন। তারপর দিনমজুর, তারা ঢাকা বাইরে থেকে আসেন। তাদের বের করা সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বৈঠক শেষে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

আলমগীর বলেন, ভোটের দিন সরকারি যান চলবে। এক এলাকায় বসবাস করেন কিন্তু ভোটার অন্য এলাকার, তারা তাদের ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। যদি পুলিশ ধরে, বাসার ঠিকানা আর ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে বলতে হবে, ভোট দিতে আসছি, তাহলে পারবেন।

৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি ক্যাম্প করার বিধান না মানলে কী হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এটা যদি আচরণবিধিমালার বাইরে হয়, তাহলে রিটার্রিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দেখবেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। শাস্তিও দিয়েছেন।

গণমাধ্যমের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র যাদের কাছে, তাদের ধরতে জোরদার পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। খারাপ কোনও পরিস্থিতির রিপোর্ট নেই। সবই ভালো। খুবই আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে সব প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছেন। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তারপর সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিধি ভঙ করলে আরও কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। ক্রমান্বয়ে কঠোরতা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম নিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রস্তুতি সন্তোষজনক। কোনও চ্যালেঞ্জ নাই। ভোটে প্রার্থীরা কতটা সক্রিয় থাকবে, তার ওপর ভোটার উপস্থিতি নির্ভর করবে। অনেকেই ভোটার নন, পরিচিতি বাড়ানোর জন্য প্রার্থী হয়। কেউ সরে গেলে কী করার আছে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন