• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২০, ১১:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০২০, ১১:২৫ পিএম

জেনে নিন

কোন এলাকা লকডাউন আর কোন এলাকা লকডাউন নয়

কোন এলাকা লকডাউন আর কোন এলাকা লকডাউন নয়

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। 

আক্রান্তের সংখ্যা ও ঝুঁকি বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে ভাগ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিবিধানের শর্ত আরোপের পরিকল্পনা চলছে।

করোনার আপডেট সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগের ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউনের তালিকায় (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হয়েছে।

আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হয়েছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে।

লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি।

সরকারি ওয়েবসাইটে তালিকা দেয়া হলেও এ বিষয়ে কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি।

সরকারি ওয়েবসাইটে দেয়া তালিকায় বরিশাল বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন দেখানো হয়েছে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন ভোলা ও ঝালকাঠি।

চট্টগ্রাম বিভাগে পুরোপুরি লকডাউন দেখানো হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন দেখানো হয়েছে গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইলকে। এই বিভাগে শুধু ঢাকা ও ফরিদপুর আংশিক লকডাউন।

খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙা, যশোর, খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও সাতক্ষীরাকে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন বলা হচ্ছে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও মাগুরাকে।

খুলনা বিভাগেই দেশের একমাত্র গ্রিন জোন চিহ্নিত জেলা ঝিনাইদহ, অর্থাৎ এটি লকডাউন নয়।

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ।

রংপুর বিভাগের আটটি জেলাকেই পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো— দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও।

সিলেট বিভাগের সব ক’টি জেলাকেই বলা হচ্ছে পুরোপুরি লকডাউন। বিভাগের জেলাগুলো হলো— হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও সিলেট।

ময়মনসিংহ বিভাগেরও সব ক’টি জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে। এ চারটি জেলা হলো জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুর।

ঢাকার ৩৮টি এলাকাকে আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) বলে দেখানো হচ্ছে ১১টি এলাকাকে। এখন পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) হিসেবে কোনও এলাকাকে দেখানো হচ্ছে না। অবশ্য ওয়েবসাইটে তালিকা দেয়া হলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা আসেনি।

আইইডিসিআর এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ঝুঁকি বিচারে এই জোনগুলো ভাগ করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।

তিনি মনে করেন, পরিকল্পিতভাবে যত দ্রুত এ  ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যাবে সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য ভালো হবে। 

বাংলাদেশ সরকারের করোনা আপডেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে আংশিক লকডাউন ঘোষিত এলাকাগুলো হলো— আদাবর থানা, উত্তরা পূর্ব থানা, উত্তরা পশ্চিম থানা, ওয়ারী থানা, কদমতলী থানা, কলাবাগান থানা, কাফরুল থানা, কামরাঙ্গীরচর থানা, কোতয়ালী থানা, খিলক্ষেত থানা, গুলশান থানা, গেন্ডারিয়া থানা, চকবাজার থানা, ডেমরা থানা, তেজঁগাও থানা, তেজঁগাও শিল্পাঞ্চল থানা, দক্ষিণখান থানা, দারুস সালাম থানা, ধানমন্ডি থানা, নিউ মার্কেট থানা, পল্টন মডেল থানা, পল্লবী থানা, বংশাল থানা, বাড্ডা থানা, বিমানবন্দর থানা, ভাটারা থানা, মিরপুর মডেল থানা, মুগদা থানা, মোহাম্মদপুর থানা, যাত্রাবাড়ী থানা, রমনা মডেল থানা, লালবাগ থানা, শাহ আলী থানা, শাহজাহানপুর থানা, শেরেবাংলা নগর থানা, সবুজবাগ থানা, সূত্রাপুর থানা ও হাজারীবাগ থানা।

ওয়েবসাইটে লকডাউন নয় এমন এলাকাগুলো হলো— উত্তরখান থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, খিলগাঁও থানা, তুরাগ থানা, বনানী থানা, ভাসানটেক থানা, মতিঝিল থানা, রামপুরা থানা, রূপনগর থানা, শাহবাগ থানা ও শ্যামপুর থানা।

এসএমএম

আরও পড়ুন