পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে বিধি প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়।

তিন মাসের মধ্যে শিক্ষাসচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী জুলহাস উদ্দিন আহমাদ গণমাধ্যমকে এ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২০১৭ সালে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে পৃথক বিধি প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। আইনজীবীর প্রতিবন্ধী সন্তান মোস্তফা মাসুদ ২০১৬ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা আশানুরূপ দেয়ার পরও মোস্তফা মাসুদকে দুই বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়। পরে খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করা হলেও কোনও পদক্ষেপ না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে।

হাইকোর্ট রুল জারির পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ মোস্তফা মাসুদকে জেএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য দেখায়।

২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় আবার দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। তখন আবারও খাতা পুনঃমূল্যায়ন চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে।

রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত বিধি প্রণয়নের রায় দেয়।

এমএ/এসএমএম