• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৪:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৪:১৮ পিএম

মাশরাফীকে অবসরে পাঠাতে পাপনের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি 

মাশরাফীকে অবসরে পাঠাতে পাপনের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি 
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপন। ফাইল ফটো

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে পূর্ণাঙ্গ সফরে যায়। সেবার তাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিপক্ষের সমীহ আদায় করে নেয়া এবং তাদের মাটিতে জয় খরা কাটিয়ে দেশে ফেরা। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি। ওয়ানডে, টি-২০ ও টেস্ট সকল ফরম্যাটেই ধবল ধোলাই হয়ে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের ঘরে ফিরে আসতে হয়। 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বোলিং করার সময় ফলো থ্রুতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ডান হাতের বুড়ো আঙুলে গুরুতর আঘাত পান মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। প্রাথমিক চিকিৎসাতে হাতে ব্যথা অনুভব করায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। বাংলাদেশ দলের তৎকালীন ফিজিও ডিন কনওয়ে জানিয়ে দেন, ম্যাচের পরপরই এক্স-রে করা হয় এবং তাতে ধরা পড়ে মাশরাফীর আঙ্গুলে চিড় ধরেছে। মাশরাফীর ঠিক হতে অন্তত চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। তারপরও মাশরাফীর আঘাতপ্রাপ্ত আঙুল পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। বিসিবিও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেয়, অন্তত চার থেকে ছয় সপ্তাহ মাশরাফীকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

টাইগার ভক্তরা যখন মাশরাফীর ইনজুরির ঘটনায় মানসিকভাবে কষ্টে ভুগছিলেন তখনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন আগের দিনই তাকে জানিয়েছেন মাশরাফি মাউন্ট মুঙ্গানুইয়ে সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচ শুরুর আগেই এ ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেবেন। সেখান থেকেই মাশরাফীর অবসর নিয়ে নাটকের সূত্রপাত হয়। 

পাপন আরও জানান, প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে এ তথ্য জানার পর তিনি নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের মাধ্যমেই মাশরাফীকে জানান যে অবসরের সিদ্ধান্ত এখন যেন না নেয়। নিলেও ঘোষণাটা কেন নিউজিল্যান্ডে দেবে? সেটা দেশে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়ার জন্য। প্রধান নির্বাহীর মাধ্যমে বিসিবি প্রেসিডেন্টের এ বার্তা পাওয়ার পর মাশরাফী শেষ টি-টোয়েন্টির আগে আর অবসরের ঘোষণা দেননি। তবে বিসিবি সভাপতি তখন এও জানিয়েছিলেন, মাশরাফী হয়তো দেশে ফিরেই টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণাটা দিয়ে দেবেন।

তবে এমন সাক্ষাৎকার দেয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে এমন সাক্ষাৎকার দেয়ার বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার অবসরের খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে নাজমুল হাসান পাপন দাবি করেন, এ বিষয়ে মাশরাফীর সঙ্গে নাকি তার কোনো কথাই হয়নি! সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সকালে মাশরাফীর সাথে আমার কথা হয় এবং সে আমাকে এই কথাটাই বলেছে যে, যদি এমন কিছু করি তাহলে কি আপনার সাথে আলাপ না করে করবো? অতএব যে কথাটি এসেছে সেটি সঠিক নয়। মাশরাফী আমাকে কখনোই বলেনি বা এমন কেউ আমাকে বলেনি যে সে এমনটি করতে যাচ্ছে। ও যতদিন ফিট থাকবে ততদিন পর্যন্ত ওকে আমরা রাখবো এটা ছিল প্রথম কথা। তবে ফিটনেসের সাথে আরও কিছু বিষয় থাকে। আমরা তাকে নিচ্ছি একজন অধিনায়ক হিসেবে; দ্বিতীয়ত সে একজন বোলার।

পরে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মাশরাফী সাফ বলে দেন, আমি কিন্তু কখনোই কাউকে ব্যক্তিগতভাবে বলিনি যে অবসর নেবো বা নিতে চাই। কখনোই না। সবসময়ই বলে আসছি, চিন্তা করার হলে আমিই করবো। আমার মত না শুনে, আমার সঙ্গে কথা না বলেই কেউ বলে দিলে বা লিখে দিলে তো ঠিক হয় না। অথচ এটাই হয়ে আসছে। যারাই বলাবলি করেছে, আমার সঙ্গে কথা না বলে সবাই সবার মতো বলে ফেলছে। যদি সিদ্ধান্ত নেই, সবার আগে অবশ্যই বোর্ড প্রেসিডেন্টকে জানাবো। আমি সিদ্ধান্ত নিলে সবার আগে উনাকে জানাবো। তারপর বাকি সবাইকেও জানাবো। সিদ্ধান্তের কারণও জানাবো। কিন্তু কেউ নিজে থেকে বললে বলতেই পারে। যার যার ব্যাপার। আমার সঙ্গে এসবের সম্পর্ক নেই। জানিও না কেন বলে। আমার থেকে সিদ্ধান্ত গেলে আমি প্রেসিডেন্টকে জানাবো আগে। কিন্তু উনার সঙ্গে এটা নিয়ে আমার কখনও কথা হয়নি। উনিও কিছু বলেননি। নিউজিল্যান্ডে একটা কথা উঠেছিল। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল হয়ত উনার কোনো কথার সূত্রে। পরে উনি আমাকে নিজেই ফোন দিয়েছিলেন। আমি তখনও তাকে খোলামেলা বলে রেখেছি যে যদি কোনো সিদ্ধান্তও নেই, আপনাকে সবার আগে জানাবো। 

মাশরাফী তখন আরও বলেছিলেন, আমি চাই টি-টোয়েন্টিতেও একটা পর্যায়ে যেতে। সেটির জন্য আরেকটু সময় লাগবে আমাদের। আমি এখনও খেলছি সেই কারণেই। টি-টোয়েন্টি দলটাকে আরেকটু দাঁড় করাতে চাই। দলটা আরেকটু শক্ত হোক। এখনও স্বপ্ন আছে, দলটাকে আরেকটু থিতু করতে চাই। সে জন্যই খেলছি, খেলে যেতে চাই।

কিন্তু সেই সাক্ষাৎকারের অল্প কয়েকদিন পর ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটি খেলতে নামার আগে ফেসবুকে নিজের পেজে বাংলা ও ইংরেজিতে নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। তিনি লিখেছিলেন, আমি মনে করি টি-২০ ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়ার জন্য এটাই আমার উপযুক্ত সময়, যাতে অনেক তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটার তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারে এবং বিসিবি তাদেরকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। আমি বাংলাদেশের টি-২০ দলের নতুন অধিনায়ককে আগাম অভিনন্দন জানাই এবং আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা সময় সামনে আসবে।’

মাশরাফীর আচমকা অবসর কেউই স্বাভাবিক ঘটনা বলে মানতে পারেননি। বিসিবির বেশ কয়েকটি সূত্র ও মাশরাফীর ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে আসল তথ্য। তৎকালীন হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে বেশ কিছুদিন আগেই বিসিবি কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফীকে নাকি তিনি টি-টোয়েন্টি দলে জরুরি মনে করেন না। বিসিবির শীর্ষ কর্তারাও তাকে টি-২০ ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে বলায় নড়াইল এক্সপ্রেস পরিষ্কারভাবেই বুঝে যান যে তাকে অবসর নিয়েই ভাবতে বলা হচ্ছে। ফলে তিনি কালক্ষেপণ না ম্যাচের দিন দুপুরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চট জলদি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। নিজের ফেসবুক পেজে অবসরের কথা জানানোর পর টস পর্বে ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্সকেও মাশরাফী জানিয়ে দেন এটাই তার শেষ টি-২০ সিরিজ।

মাশরাফীকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাটকের তখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি একটা কথা বারবারই বলছি, মাশরাফী কিন্তু টি-টোয়েন্টি এখনও ছাড়েনি! আমরা এখন পর্যন্ত মাশরাফীকে বলিনি যে, মাশরাফী টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই। ও ‍অধিনায়কত্ব ছেড়েছে। আমাদের তিনটা ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক। সেটা আমি অনেক আগেই বলেছি। ও যদি ফিট থাকে খেলবে। সে যদি বলে খেলতে চায় না কিন্তু আমাদের যদি দরকার হয়, তাহলে কি ছেড়ে দেবো? 

বোর্ড সভাপতির এমন উল্টো সুরে কথা বলায় অনেকে বিস্মিত হলেও ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করলে স্পষ্টতই বোঝা যায়, টি-২০ মাশরাফীকে অবসর নিতে বাধ্য করার জন্য বোর্ড থেকেই একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে তাকে অবসর গ্রহণের জন্যেও প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছে। 

তবে এবারের অবস্থা আগের মতো নয়। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এলিমিনেটর পর্বে বাদ পড়া ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়কত্ব করা মাশরাফী টুর্নামেন্টে দলটির সর্বশেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কেউ কেউ জোর করে অবসরে পাঠাতে চাইলেও আপাতত অবসরে যাচ্ছি না। তবে বোর্ড চাইলে এখনই ছেড়ে দেবো ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। মাঠ থেকে অবসর নেয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি আমি। অথচ এর আগেই আমাকে সবাই অবসরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি নিজেও হয়তো ওই জায়গায় অবস্থান করছি। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি শুধু যেটা খেলছি, সেটা উপভোগ করছি। মাঠ থেকে অবসর নেবো কি না, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি ওরকম কিছু মনে হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে, তা হলে চিন্তা-ভাবনা করবো।

যদিও দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজই হবে অধিনায়ক মাশরাফীর শেষ সিরিজ, তা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছেন। তবে ওয়ানডে থেকে মাশরাফী অবসরে যাবেন কি না, সে বিষয়ে পাপনের ভাষ্য, এটা খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করে। আমরা দেখেছি নামিদামি খেলোয়াড়রা পরিকল্পনা করেই বলে দেয়, এটা আমার শেষ সিরিজ। আমাদেরও ইচ্ছা ছিল ও যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা ঘটা করে তাকে বিদায় জানাবো। ও যদি খেলতে চায় ও খেলতে পারে। আমরা কেবল অধিনায়কত্বের বিষয়ে ভাবছি। আমরা যদি অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে দেই, তারপরও যদি নিজের পারফরম্যান্সে দলে ঢুকতে পারে, ঢুকবে। এটা তো কারো জন্য বাধা নয়। অধিনায়কত্বের ব্যাপারটিতে কিছুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। কিন্তু দলে চান্স পাবে কি না সেই গ্যারান্টি আমরা দিতে পারবো না। ন্যাশনাল টিমে চান্স পেতে হলে যে যে ক্রাইটেরিয়া আছে তা ফুলফিল করে আসতে হবে।

পাপন আরও বলেন, ওর সঙ্গে আমার শেষ যে কথা হয়েছিল বিশ্বকাপের সময় তখনই একটা কথা ছিল যে জিম্বাবুয়ে বা কারো সঙ্গে যদি ঘরের মাঠে একটা টি-২০'র ব্যবস্থা করতে পারি সেখানে সে হয়তো অবসর নেবে। পরে ওখান থেকে আসার পর দেখলাম ও ওর চিন্তা বদলে ফেলেছে। এর পরবর্তীতে দেখলাম যে ওর জন্য কিছু একটা অনুষ্ঠান করবো ওর রিটায়ারমেন্ট ডেতে সেটাও সে চায় না। আমার কাছে সে কিছু বলেনি। মিডিয়াতে দেখেছি যে ওসব সে চায় না। 

২০১৯ বিশ্বকাপের পর ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারেননি মাশরাফী, খেলতে নামেননি আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ। মূল বিষয়টি হলো, মাশরাফী নিজে যেখানে অবসর নিয়ে কিছু বলছেন না তাহলে বিভিন্ন কথা বলে বোর্ড সভাপতি আবারো তেমন প্রেক্ষাপট কেন সৃষ্টি করছেন তা অনেকেই স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। কারণ হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটার ব্যতীত বাকিদের ফর্ম যেখানে পড়তির দিকে, সেখানে শুধুমাত্র মাশরাফী বিষয়ে পারফরম্যান্স বিচারে দলে টিকে থাকার বিষয়টি নিয়ে বিসিবি বসের কথায় অনেকেই চটেছেন। 

সাবেক কোচ ও ক্রিকেট লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, মাশরাফীকে শর্ত সাপেক্ষে দায়িত্ব দেয়া ক্রিকেটীয় শিষ্ঠাচারের মধ্যে পড়ে না। আমাদের ক্রিকেট চর্চাকে সে এক সুশোভন কাঙ্ক্ষিত মানবিক মাত্রায় উন্নীত করেছে। আমাদের কাছ থেকে অসম্মানগন্ধী কোনো আচরণ তাঁর প্রাপ্য নয়।

একজন ক্রিকেটার কখন কোন সময়ে অবসরের সিদ্ধান্ত নেবেন দিন শেষে এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। মাশরাফী নিজেও অনেকবার বলেছেন কখনো দলের বোঝা হয়ে তিনি সুযোগ পেতে চান না, পারফর্ম করেই টিকে থাকতে চান। তার অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য হলেও এখনই তার অবসর প্রসঙ্গে চর্চা করা কিংবা টি-২০ ফরম্যাটের মতো ওয়ানডেতেও তাকে একই সিদ্ধান্ত নিতে চাপ প্রয়োগ করা হবে নিকৃষ্ট একটি পন্থা। দুই হাঁটুতে মোট ৭ বার অপারেশন করেও খেলা চালিয়ে লড়াকু যোদ্ধা পারফরম্যান্স দিয়েই দলে থেকে যান, তাহলে সেটি হবে মাশরাফীর বিদায়ের প্রত্যাশায় থাকা অতি উৎসাহীদের প্রতি অদৃশ্য এক থাপ্পড়। হতে পারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই মাশরাফীর শেষ, আবার তেমনটি নাও হতে পারে। যেদিন হবে সেদিন নির্ধারণ নিয়তি আগেই ঠিক করে রেখেছে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকা উচিত। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়- এটি মাশরাফীর চেয়ে ভালো আর কেউ জানেন না। এই সিরিজে খেলবেন নাকি ক্যারিয়ারটার সমাপ্তি হবে মাঠের বাইরে থেকেই এটি তার উপরেই ছেড়ে দেয়া বাঞ্ছনীয়। তাই বিসিবি সভাপতির প্রতি একটাই অনুরোধ, মাশরাফীর অবসর নিয়ে জলঘোলা বক্তব্য দিয়ে আর কোনো নাটকের জন্ম দেবেন না। 

আরআইএস 

আরও পড়ুন