• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৭:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৭:৩২ পিএম

তাপসকে সমর্থন জানালেন ব্যবসায়ীরা

তাপসকে সমর্থন জানালেন ব্যবসায়ীরা
ব্যবসায়ী সম্মেলনে অংশ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ● জাগরণ

ব্যর্থতার গ্লানি নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে নির্বাচন করতে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে পুরান ঢাকার কারা কনভেনশন হলে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ আয়োজিত উদ্যোগে ব্যবসায়ী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এই সম্মেলনে ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

তাপস বলেন, আমার কাছে কোনও জাদুর কাঠি, কিংবা কোন জাদুর টুপিও নেই। আমি একজন বাস্তব ভিক্তিক ব্যক্তি। ছোটকাল থেকেই নিরলস পরিশ্রম, একাগ্রতা সততা দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। কোনও জাদুকরি স্বপ্ন দেখাবো না, দেখাইও নাই। আমার দেয়া পাঁচটি ধাপের মধ্যে কোনও স্বপ্ন নেই। আমি এটুকু বলতে পারি, ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন হবে একটা বাস্তব ব্যবসায়ীদের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। 

ট্রেড লাইসেন্স এমন কোনও বিষয় না, এর জন্য নয় মাস, ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্সের যে কোনও সিদ্ধান্ত পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে নিস্পত্তি করা হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে হেল্প ডেক্স করা হবে প্রতিশ্রুতি দেন তাপস।

তাপস বলেন, কোনও রকম কর বৃদ্ধি করা হবে না, হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হবে না। বরং কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয় করার জন্য কমতে পারে, বাড়বে না। অনেক সেবা আছে যেগুলো এখনও দেই না। সেগুলো ঢাকাবাসীর কাছে পৌঁছে দেবো।

মেয়র নির্বাচিত হলে দুই বছরের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি যোগান দেয়া হবে।

তাপস বলেন, পার্কিং লট কথাটা ছোট সময় থেকেই শুনে আসছি। আজ পর্যন্ত হয় নাই। প্রতিটি এলাকার জন্য মতিঝিল, নবাবপুর, ইসলামপুরের মতো জায়গা ধরে এলাকা ভিক্তিক বহুতল পার্কিং লটের ব্যবস্থা করবো।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে ব্যবসায়ী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী নেতা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, এ কে আজাদ, শফিউল আলম মহিউদ্দিন, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, রেজাউল করিম রেজনু, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। 

তাপস বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনও উইপোঁকার জায়গা হবে না। সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতি মুক্ত সংস্থা হিসেবে এটাকে গড়ে তোলা হবে। আধুনিক সংস্থা হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কোনও রকম কোনও উৎকোচ, অতিরিক্ত ব্যয় অথবা হয়রানির কোনও অবকাশ সেখানে থাকবে না।

তিনি বলেন, ঢাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবো। সেটা মশক নিধক হোক, সড়কের বাতি হোক, সেটা রাস্তা ওপরে আবর্জনা হোক, সকল মৌলিক নাগরিক সেবা প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করা হবে। এই ৯০ দিনের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে।যা বাস্তবায়ন হবে ২০৪১ সাল নাগাদ।

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন