• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০৮:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ০৮:৫৩ পিএম

গ্রামে গিয়ে রাত কাটাবেন জেলাশাসকরা

গ্রামে গিয়ে রাত কাটাবেন জেলাশাসকরা

এবার পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা যাবেন গ্রামে গ্রামে। শুনবেন মানুষের অভাব অভিযোগ। মানুষের যে সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা যায়, সরকারি অফিসাররা গ্রামের কোনও উঠানে বা বাড়ির দাওয়ায় বসে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেবেন। শুধু তাই নয়, জেলাশাসক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা রাত কাটাবেন গ্রামের কোনও একটি বাড়িতে। সারবেন রাতের আহারও। পরের দিন সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরে আসবেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ভালো সাড়া ফেলেছে বলে দাবি বাংলার শাসক দলের। সেই কর্মসূচিতে সাংসদ-বিধায়করা গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। রাত্রিযাপনও করতে হয়েছে সেখানে। দেখা গেছে, হুগলি জেলার তারেকেশ্বরের কোনও প্রত্যন্ত গ্রামে প্রান্তিক চাষির বাড়িতে ভাত খাচ্ছেন বেচারাম মান্না। কিংবা বাদুড়িয়ার কোনও এক গ্রামে ক্ষেতমজুরের দাওয়ায় বসে ডাল-রুটি-সবজি খাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার সেই প্রক্রিয়াকেই সরকারি আমলাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

মাসখানেক আগেই নবান্নে (পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসনিক সদর দফতর) বৈঠক করে রাজ্যের শীর্ষ আমলারা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেটাই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এরই মধ্যে বীরভূম জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে হুগলিতে। বলাগড় ব্লকে প্রথম এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন। বেশ কয়েকটি ধাপে হবে এই কর্মসূচি।

............................................

চলো গ্রামে

..........................................

প্রথমেই হবে গণশুনানি। সেখানে একটি জায়গায় বসবেন জেলাশাসক-সহ সরকারি আধিকারিকরা। সেখানে এসে গ্রামের মানুষ তাদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাবেন। যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান সম্ভব, সেগুলো সেখানে বসেই সমাধান করে দেয়া হবে। যেগুলোর জন্য সময় লাগবে, সেগুলো লিপিবদ্ধ করা হবে এবং সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হবে।

এই কর্মসূচির মাধ্যমেই সরকারি প্রকল্পগুলো মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, কৃষিবন্ধুর মতো প্রকল্পগুলোতে এখনও যারা নাম নথিভুক্ত করাননি, তারা সেখানে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আমজনতার মনে সরকারি আধিকারিকদের কাজ নিয়ে অনাস্থা রয়েছে। একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেছে, আপনাদের স্বভাব হচ্ছে মানুষকে ঘোরানো। যে কাজটা পাঁচ মিনিটে হয়ে যা, সেটা আপনারা পাঁচ মাস লাগান। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি আধিকারিকদের সম্পর্কে আস্থা ফেরাতেই এই কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

ডিজিজি/এসএমএম

আরও পড়ুন