• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ১২:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ১২:১৪ পিএম

ইরাকে আমেরিকান দূতাবাসের ক্যাফেটরিয়াসহ তিন স্থাপনায় রকেট হামলা

ইরাকে আমেরিকান দূতাবাসের ক্যাফেটরিয়াসহ তিন স্থাপনায় রকেট হামলা
ইরাকে মোক্তাদা আল-সদরের সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী বিক্ষোভ ● বিবিসি

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে অন্তত তিনটি রকেট হামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রকেট দূতাবাসের ক্যাফেটরিয়াতে এবং বাকি দুইটি একটু দূরে আঘাত করেছে বলে খবর দিয়ে এএফপির বরাত দিয়ে বিবিসি।

হামলায় অন্তত তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও রকেট হামলায় বাগদাদে কোনও মার্কিন দূতাবাস কর্মী আহত হলেন।

এখন পর্যন্ত হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি কেউ।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের সামরিক বাহিনীর ইরান-সমর্থিত অংশের বিরুদ্ধে আগে থেকে অনুযোগ জানিয়ে আসছে।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের ধারাবাহিক হামলার ফলে ইরাক আবার যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, আমাদের কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়ার যে বাধ্যবাধকতা ইরাকি কর্তৃপক্ষের রয়েছে, তাদের তা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।

সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকে দূতাবাস এবং ইরাকি সামরিক ঘাঁটিগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যেখানে মার্কিন বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির কারণে ইরাকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

এ মাসের শুরুতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার ঘটনা এর মধ্যে অন্যতম।

জেনারেল সোলেইমানি নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে দুই দফায় রকেট হামলা হয়।

মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরান সমর্থিত কাটাইব হিযবুল্লাহ মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।

ইরাকি প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোক্তাদা আল-সদর দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ সংগঠিত করেছেন, তাদের দাবি মার্কিন বাহিনীকে ইরাক ছাড়তে হবে।

সোলেইমানি নিহত হবার আগে সদরের সমর্থকরা ইরাকে ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে, কিন্তু সোলেইমানি নিহত হবার পর সেই বিক্ষোভ এখন মার্কিন বাহিনীর ইরাক ছাড়ার দাবি তুলেছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সরকারবিরোধী অবস্থান ধর্মঘট থেকে সরে যাচ্ছে মানুষজন।

এসএমএম

আরও পড়ুন