• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৯:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৯:২৫ এএম

এখনও উত্তাল ভারত

এখনও উত্তাল ভারত
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ- ছবি : বিবিসি

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন

...................

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভে এখনও উত্তাল সারা ভারত। দেশজুড়ে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন মোট ২০ জন। এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশেই দুই দিনে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। আহত হয়েছেন অনেকে। অগণিত বিক্ষুব্ধ জনতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর থেকে ভারতজুড়ে ১৩টি শহরে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কানপুরে পুলিশের একটি চেকপোস্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। রামপুরে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে, করেছে লাটিচার্জ।

দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ চারদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষোভ করেছে প্রতিবাদীরা। সংঘর্ষে মীরাটে মারা পড়েছেন ৪জন, বিজনৌর, সম্ভল, কানপুর ও ফিরোজাবাদে মারা গেছেন দুজন করে। রামপুর ও বারানসিতেও নিহত হন একজন করে।

সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, উত্তর প্রদেশে নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই শরীরে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তবে গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছেন রাজ্য পুলিশ।

রাজধানী নয়াদিল্লিতে টানা বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।  পুরোনো দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই সংঘাতে আহত হয়েছে ৩৫ জনেরও বেশি মানুষ।

এই উত্তপ্ত মুহূর্তেই নির্বাচনি প্রচারণা সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্যে তিনি বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করেছেন।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-হিংসায় উত্তপ্ত দরিয়াগঞ্জের থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রামলীলা ময়দানে রোববার (২২ ডিসেম্বর) তিনি বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদকে সম্মান করুন। জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারকে সম্মান করুন। সহিংসতা ছড়াবেন না। দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না। মোদীকে ঘৃণা করুন। কিন্তু ভারতকে ঘৃণা করবেন না।

তিনি বলেন, কেন ভারতকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় লজ্জিত করার এই প্রক্রিয়া চলছে? আমি বলতে চাই, আপনারা এটা পছন্দ না করলে মোদীকে নিগ্রহ করুন এবং ঘৃণা করুন। কিন্তু জনতার সম্পত্তি জ্বালাবেন না এবং এই যে তারা পাথর ছুঁড়ছেন পুলিশের উদ্দেশে আমি তাদের বলতে চাই, যখন পুলিশ তার কর্তব্য পালন করছে তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে।

মোদী দাবি করেন, দেশের কোনও মুসলমানকে তাড়াতে এই আইন নয়। মুসলিম দেশগুলো সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি কংগ্রেস আর তার শরিকেরা সহ্য করতে পারছে না।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন ২০১৯ অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও পার্সি শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

সমালোচকদের দাবি, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

এসএমএম

আরও পড়ুন