• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৫:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৫:৩২ পিএম

ডা. আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় মিতুর জামিন বহাল

ডা. আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় মিতুর জামিন বহাল

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল। আর মিতুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ২৮ আগস্ট (বুধবার) মিতুকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি কাজী ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের আদেশ দেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে এরই মধ্যে মিতু কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সকালে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শিরায় বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন। তার আগে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন রাতে চিকিৎসক দম্পতির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভোর চারটার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান তানজিলা।

পরে স্ত্রীর সমালোচনা করে স্বামী আকাশ ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিংয়ের শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চিরশান্তির পথ বেছে নিলাম।’

ওইদিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরের নন্দন কানন এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তানজিলাকে আটক করে। পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আকাশের স্ত্রী, শ্যালিকা, দুই বন্ধুসহ ছয়জনকে আসামি করে ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন আকাশের মা জোবেদা খানম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা মানসিক যন্ত্রণা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করায় আত্ম-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মৃত্যুর মুখে পড়েন মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। ২০০৯ সালে তানজিলার সঙ্গে আকাশের প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন তানজিলা। কিন্তু বিয়ের আগে ও পরে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন।

আকাশ বিষয়টি জানার পর তার শ্বশুর-শাশুড়িকে জানান। তবে তারা শোধরানোর উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো আকাশকে শাসান। তানজিলার বোন সানজিলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নানাভাবে আকাশকে হুমকি দিয়ে মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকেন।

মামলা দায়ের করার পর নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন মিতু। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। জামিন শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিনের বিষয়ে রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত মিতুর জামিনের রায় প্রদান করেন। তবে সে রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

এমএ/এসএমএম

আরও পড়ুন