• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২০, ০৯:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৯, ২০২০, ০৯:৩৭ এএম

ইরানের হামলায় কেউ নিহত হয়নি, দাবি ট্রাম্পের

ইরানের হামলায় কেউ নিহত হয়নি, দাবি ট্রাম্পের
হোয়াইট হাউজে ভাষণ দিচ্ছেন ট্রাম্প-ইন্টারনেট

‘‘মধ্যপ্রাচ্যের তেলের কোনও প্রয়োজন নেই, তেল-গ্যাস উৎপাদনে এখন এক নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র’’

ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলায় কোনওি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তেহরানের চালানো সেই মিসাইল হামলায় কিছু স্থাপনার ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রবাসীর ব্যাপকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা এবং খুশি হওয়া উচিত এজন্য যে, গতরাতে ইরানের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নাগরিকের ক্ষতি হয়নি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

হুঁশিয়ারি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি যতদিন প্রেসিডেন্ট আছি ইরানকে ততদিন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। মিসাইল হামলার জবাবে ইরানের ওপর শিগগিরই নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেলের কোনও প্রয়োজন নেই, তেল-গ্যাস উৎপাদনে এখন এক নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রায় ১০ মিনিটের এই ভাষণে, শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার কাজে ইরানকে রাজি করাতে বিশ্ববাসীকে পাশেও চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এর আগে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলায় ৮০ মার্কিন সেনা নিহত এবং ২০০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামলার শিকার কথা স্বীকার করা হয়।

ইরানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তার বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, মার্কিন দুই সেনাঘাঁটিতে ১৫টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। এতে ৮০ ‘আমেরিকান সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।

খবরে আরও দাবি করা হয়, এই হামলায় আমেরিকার বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার গানশিপ ধ্বংস হয়েছে এবং যুদ্ধ সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বাগদাদে মার্কিন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়েছে।

ইরানের রেভুল্যুশনারি গার্ডস কর্মকর্তারা বলেন, যেসব দেশে ‘মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী’র ঘাঁটি রয়েছে তাদের সবাই ইরানের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। এটি কেবল প্রাথমিক পদক্ষেপ বলেও জানায় তারা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রেসটিভি টুইটারে জানায়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ফের কোনও হামলা হয়, তবে আরও কঠোর প্রত্যাঘাত করা হবে।

ইরাকে দুটি সেনাঘাঁটি আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। খুব শিগগিরই হামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি হামলার পরই জরুরি বৈঠকে বসে হোয়াইট হাউস। সেইসঙ্গে ইরাক, ইরান এবং পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন হামলায় ইরানি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়।

এসএমএম

আরও পড়ুন